অঘটনের আশা জাগিয়েও জয় থেকে একহাত দূরে থামল আফগানিস্তান, ভারত জিতল ১১ রানে
গ্রুপ টেবিলের লাস্ট বয়। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে আফগানিস্তান।
গ্রুপ টেবিলের লাস্ট বয়। ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে আফগানিস্তান। তা সত্ত্বেও বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার ভারতকে বেগ পেয়ে জিততে হল। একটা সময় মনে হতে শুরু করেছিল, বিশ্বকাপে বোধহয় অঘটন ঘটিয়েই বাড়ি ফেরার বিমান ধরবে মহম্মদ নবি, রশিদ খানরা। তবে শেষ অবধি আফগানিস্তানের অনভিজ্ঞতা ও ভারতের দূরন্ত বোলিং ম্যাচে ফেরাল বিরাট কোহলির দলকে।
এদিন প্রথমে টসে জিতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক মনে হলেও ব্যাট করতে নেমে ভুল ভাঙল। উইকেটে বল থমকে আসছিল। ফলে বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয় ভারত। শুরুতে রোহিত শর্মা ১ রানে ফিরে গেলেও কেএল রাহুল ৩০ ও বিরাট কোহলি ৬৭ রান করে ইনিংস সামাল দেন।
তবে এই দুজন ফেরার পরে বিজয় শঙ্কর ২৯, মহেন্দ্র সিং ধোনি ২৮ ও কেদার যাদব ৫২ রান করে ভারতকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেন। যদিও শেষ অবধি ৮ উইকেটে মাত্র ২২৩ রান তোলে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান দাঁত কামড়ে শুরু করে। হজরতউল্লাহ ১০, গুলবদিন নায়িব ২৭ ও রহমত শাহ ৩৬ করে ইনিংস টানছিলেন। মিডল অর্ডারে হসমতউল্লাহ শাহিদি ২১ রান করে যান। তবে এই কয়েকজন আউট হওয়ার পর ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব এসে পড়ে অভিজ্ঞ মহম্মদ নবির ওপরে।
তিনি একাই দলকে প্রায় জয় এনে দিচ্ছিলেন। শেষদিকে নাজিবুল্লাহ (২১)-কে সঙ্গে নিয়ে ভারতের হৃদকম্প ধরিয়ে দিয়েছিলেন নবি। নাজিবুল্লাহকে ফেরাল পান্ডিয়া। এবং একেবারে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। তখনই তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করে ভারতকে জয় এনে দেন মহম্মদ শামি।
পরপর ফেরান নবি, ইকরম ও আফতাবকে। এবং চেতন শর্মার পর ফের বিশ্বকাপে ভারতের কোনও বোলারর হিসাবে শামি হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিলেন।
এদিনের জয়ের ফলে ভারত ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এল।