ক্রিকেট দুর্নীতির আঁতুরঘর এখন ভারত! আইসিসি কর্তার চাঞ্চল্যকর দাবি
ক্রিকেট দুর্নীতির আঁতুরঘর এখন ভারত! আইসিসি কর্তার চাঞ্চল্যকর দাবি
বর্তমান ক্রিকেটবিশ্বে সবচেয়ে বেশি ফিক্সিং ও দুর্নীতি ভারতীয় ক্রিকেটে। এমনই বিস্ফোরক দাবি আইসিসি কর্তার। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার এক শীর্ষকর্তা ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের কথা জানাচ্ছেন।
ভারতীয় ক্রিকেটে দুর্নীতি
শেষবার ২০১৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেটে দুর্নীতি দেখা গিয়েছিল। ২০১৩ সালে আইপিএলে শ্রীসন্থ সহ আরও দুই ক্রিকেটার স্পট ফিক্সিং করে ধরা পড়ে। সেই ঘটনার পর ভারতীয় ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময় কর্ণাটক প্রিমিয়র লিগের মতো আসরে বেশি কিছু দুর্নীতি অভিযোগ এসেছে। এছাড়া বড় কোনও ফিক্সিং দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।
পাকিস্তানে ক্রিকেট দুর্নীতি
তুলনায় পাকিস্তান ক্রিকেটে বারবার ফিক্সিংয়ের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। যে ঘটনায় ২২ গজ বারবার কলঙ্কিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটার নাসির জামশেদকে ক্রিকেটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্যে আদালত ১৭ মাসের কারাদণ্ডের ঘোষণা করেছে। ২০১৮ সালের পিএসএলে সতীর্থকে ফিক্সিং করতে প্রলোভন করার কারণে তাঁর এই শাস্তি হয়। অতীতে এভাবে বারবার ফিক্সিং কাণ্ডে পাক ক্রিকেটের নাম জড়িয়েছে। ২০১০ সালে লর্ডসে পাক ক্রিকেট দলের তিন ক্রিকেটারের ফিক্সিং কাণ্ড ক্রিকেটদুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যেকারণে মহম্মদ আমির, তৎকালীন পাক দলের অধিনায়ক সলমন বাট ও মহম্মদ আসিফের কারাদণ্ড হয়েছে।
আইসিসির কর্তা কী বলছেন
আইসিসির কর্তা রিচার্ডসন অবশ্য বলছেন, এই মুহূর্তে দুর্নীতি দমন শাখা ম্যাচ ফিক্সিংয় নিয়ে মোট ৫০টি ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে। যার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভারতীয় যোগাযোগ রয়েছে।
ভারতে জুয়াড়িদের আঁতুরঘর !
এই ৫০টি তদন্তের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরাসরি ভারতের নাম যুক্ত রয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি রিচার্ডসনের । আইসিসির কর্তা আরও জানিয়েছেন ভারতে বসে অন্তত আটজন জুয়াড়ি নিয়মিত দুর্নীতি ঘটাচ্ছে।
২০০২ ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালের স্মৃতি ফেরাল সৌরভ বনাম নাসেরের টুইট যুদ্ধ!