বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে নতুন নো বল নিয়ম চালু
বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে নতুন নো বল নিয়ম চালু
ফিল্ড আম্পায়ারদের ভুল সংশোধন করতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে নতুন নো বল নিয়ম চালু হতে চলেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে শুরু হতে চলা ওয়ান ডে সিরিজ দিয়েই এই নিয়মের শুভ উদ্বোধন করছে আইসিসি। কী রয়েছে সেই নিয়মে, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
উত্তরপ্রদেশ
বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে রাজ্যে বিজেপি আসতে চলেছে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতও মিলে গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা পেয়ে এগিয়ে থাকতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সপা-কংগ্রেস জোট সত্ত্বেও পাল্লা ভারি বিজেপিরই। সপা কংগ্রেস জোট বেঁধে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়কে তুষ্ট করতে গিয়ে রাজ্যবাসীর সুপ্ত হিন্দুত্ব ভাবনাকে জাগরিত করেছে। মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের হিসাব রাখাই স্ট্র্যাটেজি ছিল কিন্তু সপা-কং জোট এই ফ্যাক্টরটিতে গুরুত্ব দেয়নি যে রাজ্যে একমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ই ভোট দিচ্ছে না।
মায়াবতী অন্যদিকে দলিত ভোটে নজর রাখলেও অ-দলিত সম্প্রদায়কে মাথায় রেখে হিন্দুত্ববাদে একটা ছোট অংশ ছোঁয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। যা কিছুটা হলেও তার পক্ষে যেতে পারে। আর তা হলে তার প্রভাব বিজেপির ভোটেই পড়বে।
অনেকেই মনে করছেন বিহারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে সপা-কং জোটের নেতাদের শুধু জনপ্রিয়তা দিয়ে নেতিবাচক ভোটকে ইতিবাচক ভোটে রূপান্তরিক করা যাবে না। বিশেষ করে, বিহারের মহাজেট যে হারে ভোট টানতে পেরেছিল কং-সপা সেহারে ভোট টানতে সমর্থ হবে না। আর তার ফল হাতে নাতে পাবে বিজেপি।
উত্তরপ্রদেশ ২০১৭ এবং বিহার ২০১৫-এর মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে মহাজোটের মধ্যে নেই রাজ্যের তৃতীয় বৃহদ দল বসপা। কংগ্রেস একেই ডুবন্ত জাহাজ, তায় সমাজবাদী পার্টির অন্তর্কোন্দল, দুইয়ে মিলে হাত মেলালেও সেভাবে সুবিধা হবে কিনা জোটের তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েইছে।
নতুন নো বল নিয়ম
আম্পায়াররাও মানুষ। ভুল তাঁরাও করেন। কিন্তু সেই ভুল কোনও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বিশেষ করে নো বল ডাকার ক্ষেত্রে আম্পায়ারদের ভুল হামেশই হয়ে থাকে। সেই ভুলের হার শূন্যে নামাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আইসিসি। জানিয়ে দিয়েছে, নো বল ডাকার সিদ্ধান্ত আর ফিল্ড আম্পায়ারদের হাতে থাকবে না। পরিবর্তে টিভি বা থার্ড আম্পায়াররাই এবার থেকে এই কল দেবেন বলে জানিয়েছে আইসিসি।
পাঞ্জাব
এই রাজ্যে সরকার বিরোধি হাওয়া রয়েছে। ফলে ক্ষমতায় থাকা শিরোমণি আকালি দল এবং বিজেপি নির্বাচনের ফলে বড় ধাক্কা খেতে পারে। তবে লড়াইটা কংগ্রেস আর আম আদমি পার্টির মধ্যে জোরদার হতে চলেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে পাঞ্জাবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র মালওয়া, মাঝা এবং দোয়াবায় নির্ণায়ক ভূমিকায় আসা যাবে না যে কোন দল বিজেপি-অকালি সরকারের সেরা বিকল্প হবে। রাজ্যের ১১৭টি আসনের মধ্যে এই তিন এলাকা থেকেই রয়েছে ৬৯টি আসন। এই আসনগুলিতে হাওয়া আপের দিকেই এবং বাকি ৪৮টি আসনে কংগ্রেস জোরদার বলে মনে করছেন অনেকে।
আসলে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের বিশ্বাস আপ প্রথমবার লড়াইয়ে নেমেই আকালি দলের ভিত অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে। হিন্দু এলাকায় আপের জোর নেই তবে শিখ এলাকায় আপ শক্তিশালী।
নিয়মের ইতিহাস
২০১৬ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে নতুন নো বলের নিয়ম চালু করে আইসিসি। ২০১৯ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে হওয়া ওয়ান ডে সিরিজে নতুন নিয়মের ট্রায়াল করা হয়। উল্লেখ্য চলতি বছরের শুরুতে হওয়া মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ফ্রন্ট ফুট নো বল ডাকার দায়িত্ব টিভি আম্পায়ারকেই দিয়েছিল আইসিসি।
গোয়া
গোয়ায় গেরুয়া হাওয়ার দাপটই বেশি। তবে অনেকে মনে করছেন গোয়াতে আপের সুবিধা বেশি। আসলে সবাই ভাবছে লড়াইটা দুটি প্রতিষ্ঠিত দল ক্ষমতায় থাকা বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে। তবে চোরা স্রোতে কখন যে আপ ঢুকে পড়েছে তা কেউই নজরে আনতে পারেনি।
কংগ্রস এখানে এখনও দুর্নীতির ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত আর শাসক বিজেপির কাজে হতাশ এলাকাবাসী। তবে তা হলেও এই রাজ্যে সরকার বিরোধী হাওয়া খুব প্রবল নয়।
কবে থেকে শুরু
আগামী বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। একই সঙ্গে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপের সুপার লিগ। ওই সিরিজ থেকেই নো বলের নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
মণিপুর
এই রাজ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা ৫০-৫০। কংগ্রেস থেকে সম্প্রতি অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, যার মধ্যে এন বীরেন সিং এবং ইয়েরাবতের মতো হেভিওয়েটরা রয়েছে। এদিকে বিজেপি থেকেও বেশ কিছু বিধায়ক যোগ দিয়েছে কংগ্রেসে। যাদের মধ্য অন্যতম বড় নাম বল খুমুকচাম জয়কিষণ। অন্য কোনও দল সেভাবে লড়াইয়ে আসতেই পারেনি। দুই দলই সমান গতিতে রয়েছে নির্বাচনের দৌড়ে।
কীভাবে সম্ভব
আইসিসি সূত্রে খবর, বোলারের প্রতি ডেলিভারির পর তাঁর ফ্রন্টফুট কোন স্থানে পড়েছে, তার ছবি মুহূর্তে টিভি আম্পায়ারের কাছে পৌঁছে যাবে। ওভার স্টেপ কিংবা ওভার দ্য শোল্ডার বাউন্সার হলে ফিল্ড আম্পায়ারকে তা জানানো হবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
উত্তরাখণ্ড
এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত নিজেই কংগ্রেসের জয় নিয়ে আশাবাদী নয়।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন উত্তরাখণ্ডে ভোট এত কম হারে পড়েছে যে কংগ্রেস বেরিয়ে যেতে পারে।
যে কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা নিজেদের উত্থানের জন্য সৌরভের কাছে কৃতজ্ঞ