খেলতে না পারলে বাদ পড়তেই হবে - ইংল্যান্ড সফর নিয়ে মত ব্যক্ত করলেন নির্বাচক প্রধান
একটি সাক্ষাত্কারে প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ বলেছেন, যদি খেলোয়াড়রা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয় তবে তাদের নতুন মুখের খোঁজ করতে হবে। দলের সার্বিক ব্যাটিং পারফরম্যান্সে তিনি খুশি নন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৪-১ ফলে হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। কিন্তু সিরিজের দিকে নজর রাখা অন্যান্য সকলের মতো নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদও মনে করেন ফলে যা দেখাচ্ছে ভারত তার থেকে অনেকটাই ভাল খেলেছে। সুযোগ তৈরি করেও সুযোগ না নিতে পারারই খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। তবে দলের ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে তিনি হতাশা গোপন করেননি।
তাঁর মতে ৫ টেস্টে ৬০য়ের বেশি উইকেট নেওয়াই বলে দিচ্ছে কতটা ভাল বল করেছে ভারতের পেস বিভাগ। তবে তাদের যোগ্য সহায়তা দিতে পারেনি ভারতের ব্য়াটিং। বিশেষ করে ভারতের ওপেনাররা একেবারেই প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রসাদ। পাশাপাশি তিনি ইংরেজ ওপেনারদের কথাও তুলেছেন। তারাও যে ভাল খেলতে পারেননি সেকথা উল্লেখ করে বলেছেন 'পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ছিল'।
৩ ও ৫ নম্বরে পুজারা ও রাহানের কাছ থেকে আরও বেশি ধারাবাহিকতা আশা করেছেন নির্বাচক কমিটির প্রধান। তবে জানিয়েছেন ভাল খেলতে না পারলে বাদ পড়তেই হবে। তিনি বলেন, তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট স্লটের জন্য যখন কোনও খেলোয়াড়কে বেছে নেন, তারপর তাদেরকে বেশ কয়েকটা সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে তখন তাঁদের তরুণদের দিকে তাকাতেই হবে।
[আরও পড়ুন:হৃদয় থাকবে কেরল ব্লাস্টার্সের জন্য, আইএসএল থেকে সরে গেলেন শচিন তেন্দুলকার ]
ইংল্যান্ড সফরে মোটের উপর ব্যর্থ হয়েছেন অশ্বিনও। কিন্তু তার পরেও অশ্বিনের উপর নির্বাচক প্রধানের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। শুধু ভারতেরই নয় বিশ্বেরই অন্যতম সেরা স্পিনার বলে অশ্বিনকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছেন ভারতের টেস্ট দলের প্রথম দুই স্পিনার এখনও অশ্বিন ও জাদেজা। কূলদীপ আছেন তিন নম্বরে।
[আরও পড়ুন:এশিয়া কাপ ২০১৮, ভাঙা হাতে অনন্য ক্রিকেট রোমান্স উপহার দিলেন তামিম ইকবাল ]
ঋদ্ধিমান সাহার চোট ভারতীয় দলের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। কিন্তু প্রসাদের মতে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে ভারত একেবারে সঠিক পথে রয়েছে। নাহলে ইংল্যান্ডে ভারতীয় বোলাররা পঞ্চম টেস্টেও নিয়মিত ৯০ মাইল গতিতে বল করতে পারতেন না। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ অনুযায়ীই বিরাট কোহলিকে এশিয়াকাপে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া সফরে আরও কয়েকজনকে বিশ্রাম দেওয়া হবে।