রনজির দ্বিতীয় দিনে দাগ কাটতে ব্যর্থ বাংলার বোলাররা, জোড়া শতরানে চালকের আসনে দিল্লি
রনজির দ্বিতীয় দিনেও প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ বাংলা। প্রথম দিন ব্যাট হাতে বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি তারা আর দ্বিতীয় দিনে বল হাতে দাগ কাটতে ব্যর্থ দিন্ডা, সামিরা।
রনজির দ্বিতীয় দিনেও প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ বাংলা। প্রথম দিন ব্যাট হাতে বিশেষ দাগ কাটতে পারেনি তারা আর দ্বিতীয় দিনে বল হাতে দাগ কাটতে ব্যর্থ দিন্ডা, সামিরা।
প্রথম দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৮৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৬৯। ক্রিজে ছিলেন আমীর গোনি ও শ্রীবৎস গোস্বামী। দ্বিতীয় দিনে এরা কেউই অবশ্য কিছু দাগ কাটতে পারেননি। আমীর গোনি ৮ রান করেই প্যাকআপ হয়ে যান।
রনজি সেমিফাইনালে ৮৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান তুলেছিল বাংলা। শ্রীবৎস ২৯ রানে আউট হয়ে যান। ৯৪.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় বাংলা। স্কোরবোর্ডে তখন ২৮৬ রান। এরপর অনেক ভরসা ছিল বাংলার দুরন্ত পেস অ্যাটাকের ওপর। কিন্তু অশোক দিন্ডা, মহম্মদ শামিদের নিয়ে এক কথায় খেলা করলেন দিল্লির দুই ওপেনার। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর শতরান করেন। শতরান করেন কুণাল চান্ডেলাও। ২৩২ রানে প্রথম উইকেট হারায় দিল্লি। তাঁকে আউট করে দেন বি অমিত। ১২৭ রানে আউট হন গৌতম গম্ভীর। কিন্তু ততক্ষণ বাংলার প্রথম ইনিংসের রান টপকে যাওয়ার রশদ দিয়ে দিয়েছেন।
দিনের শেষে ৭৭.২ ওভারে ২৭১ রান করেছে দিল্লি। হারিয়েছে ৩উইকেট। বাংলার প্রথম ইনিংসের রান টপকে যেতে আর প্রয়োজন ১৬ রান। তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই দিল্লির লক্ষ্য হবে প্রথম ইনিংসের স্কোরকেই এতটা বড় করা যাতে দ্বিতীয় ইনিংসে আর তাদের ব্যাট করতে না হয়। অন্যদিকে বাংলার লক্ষ্য হবে দিল্লিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্যাক আপ করে দেওয়া। প্রথম ইনিংসে যা ভুল করেছেন তাদের ব্যাটসম্যানরা , সেটা শুধরে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো রান করা ও ম্যাচ পাঁচ দিনের নিষ্পত্তির দিকে নিয়ে যাওয়া। কারণ প্রথম ইনিংসে -র লিড পাওয়ার স্বপ্ন এই অবস্থায় অতি বড় সমর্থকও দেখছেন না।