লড়াকু বাংলাদেশকে হালকাভাবে না নিলেও ট্রফি জেতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রোহিতের ভারত
নিদাহাস টি২০ ট্রফির ফাইনালে কলম্বোয় তাই স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিট রোহিতের ভারত।
শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট গুনমানে ভারতের চেয়ে এই মুহূর্তে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যে লড়াইয়ে ফেলে দিলেও ভারতের বিরুদ্ধে এই দুটি দলের কেউই কোনও ম্যাচে ফেভারিট নয়। নিদাহাস টি২০ ট্রফির ফাইনালে কলম্বোয় তাই স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিট রোহিতের ভারত।
বাংলাদেশ এই সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এমনকী অতীতেও ভারতকে বেশ কয়েকবার ভালো লড়াই দিয়েছে। সেজন্য বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছে না ভারত। ফর্ম্যাটটা যেহেতু টি২০ তাই ম্যাচের রঙ যেকোনও সময় বদলে যেতে পারে।
বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা না থাকায় এদিন ওপেনিংয়ে শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মার উপরে বাড়তি দায়িত্ব থাকবে। এই দুজনের কেউ একজন চলতে শুরু করলেই অ্যাডভান্টেজ ভারত। শিখর ভালো ফর্মে রয়েছে। ভালো খেলছেন রোহিতও।
এরপরে মিডল অর্ডারেও সুরেশ রায়না, দীনেশ কার্তিকের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান রয়েছেন। এছাড়া লোকেশ রাহুল ও মনীশ পাণ্ডের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন।
বোলারদের মধ্যে সকলেই কমবেশি ভালো বল করেছেন। ওয়াশিংটন সুন্দর আগের ম্যাচগুলিতে বল হাতে নজর কেড়েছেন। এছাড়া যুজবেন্দ্র চাহাল, শার্দুল ঠাকুররা নিজেদের লাইন ধরে রেখেছেন।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, শাকিব আল হাসানরা কেউ না কেউ কোনও ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন। শেষ ম্যাচে ফাইনালে ওঠার আগে মাহমুদুল্লাহ মাত্র ১৮ বলে ৪৩ রান করে বাংলাদেশকে টি২০তে স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন। মুশফিকুরও আগের ম্যাচগুলিতে ভালো খেলেছেন। এই অবস্থায় ভারতীয় বোলাররা বাংলাদেশি মিডল অর্ডারের জন্য কী পরিকল্পনা করে সেটাই দেখার।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে শেষ বলে ছয় মেরে মাহমুদুল্লাহ ম্যাচ জিতিয়েছেন। সেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়েই বাংলার বাঘেরা কলম্বোয় নামবেন। এদিকে অভিজ্ঞ রোহিতের ভারত নিজেদের খেলা খেলতে পারলেই কোহলিহীন দল ফের এক ট্রফি জিতে ঘরে ফিরবে নিঃসন্দেহে।