দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এল সুযোগ, সেরাটাই দিতে চান ভারতীয় দলের নতুন মুখ মায়াঙ্ক আগরওয়াল
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় পর মায়াঙ্ক আগরওয়ালের প্রতিক্রিয়া।
গত একবছর ধরেই ভারতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। রাজ্য দলের হয়ে হোক, কি ভারত এ দলের হয়ে - একের পর এক ভাল পারফরম্যান্স দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও কেন তাঁকে দলে নেওয়া হচ্ছে না, এই নিয়ে প্রায় একবছর ধরে আলোচনা চলছিল। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলে ডাক পেলেন এই কর্ণাটকি ওপেনার।
ভদোদরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিরুদ্ধে বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের হয়ে দুর্দান্ত একটি ৯০ রানের ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফিরেই বেসরকারি ভাবে জানতে পেরেছিলেন এইবারে শিকে ছিঁড়ছে তাঁর। সন্ধায় নির্বাচক কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ২৭ বছরের কর্ণাটকি বলেন, 'দেশের হয়ে খেলার সুয়োগ পাওয়ার মতো সম্মানের কিছু হয় না। যখনই সুযোগ আসবে নিজের সেরাটাই দেব।'
ভারত এ দলের সবচেয়ে আলোচিত নাম ছিলেন মায়াঙ্ক। তাঁকে দেখতে হয়েছিল এ দল থেকে একের পর এক পৃথ্বী শ, হনুমা বিহারীরা সিনিয়র দলে সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু, সেই নিয়ে তিনি কখনই চিন্তিত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, 'আমার ফোকাসটা ছিল ক্রিকেট খেলাব় দিকে, সে যে স্তরেই সুযোগ পাই না কেন। এই মরসুমে যেভাবে ব্যাট করছি তাতে আমি খুশি। বিষয়টা হল সুযোগকে কাজে লাগানো ও নিজের ফর্মকে ব্যবহার করা। আমি নিজেকে বলেছিলাম যা হবার তা হবে, নিজের খেলাটা খেলে যেতে হবে।'
সোশ্যাল মিডিয়াতেও মায়াঙ্ক প্রথমবার সিনিয়র দলে ডাক পাওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে অনেকেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি জানিয়েছেন যাঁরা এতদিন তাঁর পাশে ছিলেন, তাঁদের গর্বিত করবেন।
মারকুটে ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ককে বরাবরই সীমিত ওভারের ক্রিকেটের খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হত। কিন্তু গত রঞ্জি মরসুমে ১১৬৮ রান করে তিনি সেইসব হিসেব ওলোটপালট করে দেন। তিনি জানিয়েছেন সেওয়াগ, ম্যাথু হেডেন বা ডেভিড ওয়ার্নারদেরর মতো আগ্রাসি ব্যাটসম্য়ানদের সব ধরণের ক্রিকেটে খেলতে দেখেছেন তিনি। তাঁদের থেকেই পেয়েছেন অনুপ্রেরণা।
মায়াঙ্ক জানিয়েছেন, তিনি দেখেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই নামী আগ্রাসী ব্য়াটসম্যানরা কিন্তু টেস্টের মতো বড় ফর্ম্যাটে খেলতে এসে নিজেদের খেলায় খুব একটা পরিবর্তন ঘটান না। কিছু কিছু অ্যাডজাস্টমেন্ট অবশ্যই করতে হয়, কিন্তু নিজেদের খেলার মূল ধারাটা পাল্টান না। পরিস্থিতি অনুযায়ী গেম প্ল্যান সাজানোটাই মূল কথা। আর সেভাবেই এই রঞ্জি মরসুমে তিনি সাফল্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এবার আন্তর্জাতি মঞ্চে তিনি কী করেন সেটাই দেখার।