১২ বছর আগের ১৪ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কী নজির গড়েছিল ভারত?
টানটান উত্তেজনা পূর্ণ ম্যাচ দুই ইনিংসের জন্য নির্ধারিত মোট ৪০ ওভার পর্যন্ত ফল অমীমাংসিত থাকে। তারপর আম্পায়ারের নির্দেশে সেই ম্যাচেই প্রথম বোল আউট প্রত্যক্ষ করেছিল ক্রিকেট বিশ্ব।
টানটান উত্তেজনা পূর্ণ ম্যাচ দুই ইনিংসের জন্য নির্ধারিত মোট ৪০ ওভার পর্যন্ত ফল অমীমাংসিত থাকে। তারপর আম্পায়ারের নির্দেশে সেই ম্যাচেই প্রথম বোল আউট প্রত্যক্ষ করেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। প্রাপ্ত তিনটি সুযোগই কাজে লাগিয়েছিল ভারতীয়রা। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল পাকিস্তান।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়ার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ওই ম্যাচ কেউ হয়তো ভুলতে পারেনি। ১২ বছর আগের ১৪ সেপ্টেম্বর সেই ম্যাচের মুহূর্তগুলো স্মরণ করছে ক্রিকেট বিশ্ব।
দক্ষিণ আফ্রিকার কিংসমিডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে এমএস ধোনি নেতৃত্বাধীন ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক শোয়েব মালিক। রবিন উথাপ্পার দুর্দান্ত ব্যাটিং-র সৌজন্যে ২০ ওভারে ১৪১ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংস একা হাতে টেনে নিয়ে যান মিসবা উল হক। তবে শেষ ওভারে দুটি চার মেরেও ম্যাচ বের করতে পারেননি পাকিস্তানের বর্তমান হেড কোচ। ১৪১ রানেই শেষ হয়েছিল পাক ইনিংস।
এরপর কী হবে, তা নিয়ে চিন্তার মধ্যেই আম্পায়াররা জানান যে বোল আউটের মাধ্যমে ম্যাচের ফল নির্ধারণ করা হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী দুই দলের খেলোয়াড়েরা একে একে দৌড়ে এসে বল করবেন। সেই বল উইকেট ভাঙলেই পয়েন্ট।
ভারতের হয়ে প্রথম সুযোগ কাজে লাগান বীরেন্দ্র শেহবাগ। তাঁর ডেলিভারি উইকেটে আঘাত করে। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার ইয়াসের আরাফাত সুযোগ নষ্ট করেন।
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ডেলিভারি করেন হরভজন সিং। তিনিও সফল হন। কিন্তু পাকিস্তানের উমর গুল সুযোগ নষ্ট করেন।
তৃতীয় সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ইরেগুলার রবীন উথাপ্পার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক ধোনি। সফল হন তিনিও।কিন্তু পাকিস্তানের হয়ে তৃতীয় ডেলিভারি ফেলা শাহিদ আফ্রিদিও বিফল হন। এভাবেই সেদিনের ম্যাচ জিতেছিল ভারত।