দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস, একদিনের পর টি২০ সিরিজও জয় ভারতের
দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়ে একদিনের সিরিজের পর টি২০ সিরিজও প্রোটিয়াদের হারিয়ে জিতে নিল ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়ে একদিনের সিরিজের পর টি২০ সিরিজও প্রোটিয়াদের হারিয়ে জিতে নিল ভারত।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি এদিন না খেললেও তাঁর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে দলকে শেষ টি২০ ম্যাচে জয় এনে দিলেন রোহিত শর্মা। এদিন পিঠে টান ধরায় কোহলি শেষ মুহূর্তে নিজেকে ম্যাচ থেকে সরিয়ে নেন। তবে সেজন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে অসুবিধা হয়নি ভারতের। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৭ উইকেটে ১৭২ রান তোলে। জবাবে ভুবনেশ্বর কুমারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সৌজন্যে ৭ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নিল। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে ইনিংস শেষ করে।
এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নামেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। রোহিত ফের ব্যর্থ হন। ৮ বলে ১১ রান করে জুনিয়র ডালার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেটে ধাওয়ান ও সুরেশ রায়না খেলা ধরেন।
রায়না স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেলছিলেন। তবে ধাওয়ান এত বেশি স্লো খেলছিলেন যে রায়না অতিরিক্ত ঝুঁকি নিতে গিয়ে অর্ধশতরান হাতছাড়া করে ফেরেন। রায়না ২৭ বলে ৪৩ করে শামসির বলে লং অনে ক্যাচআউট হন।
তারপরে একে একে মনীশ পাণ্ডে (১৩), হার্দিক পান্ডিয়া (২১) মহেন্দ্র সিং ধোনি (১২) কেউই বড় রান করতে পারেননি। ধাওয়ানও ৪০ বলে ৪৭ রান করে ফিরে যান।
শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ৬ বলে ১৩ রান করে দলের রান ১৭২-এ পৌঁছে দেন। ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের ১৭৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় রোহিতের ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের শুরু থেকেই অনবদ্য পেস বোলিংকে আটকে রাখেন ভুবনেশ্বর কুমার। ভুবির অনবদ্য বোলিংয়ের ফলে প্রথম দশ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫২ রান তোলে প্রোটিয়ারা।
তারপরের পাঁচ ওভারে প্রায় ১০ করে ওভারপ্রতি তুলছিল প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক জেপি ডুমিনি ফের এদিন অর্ধশতরান করেন। তবে তিনি আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই ৪১ বলে ৫৫ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হয়ে ফেরেন।
আর কেউ এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। শেষদিকে জঙ্কার ২৪ বলে ৪৯ রানে অসাধারণ ইনিং খেলে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। তবে তাঁকে ফিরিয়ে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। বেহারডিন ৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ওভারে জিততে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল যা প্রোটিয়ারা তুলতে পারেনি।
এদিন ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার ২৪ রানে ২ উইকেট, বুমরাহ ৩৯ রানে ১ উইকেট, শার্দুল ঠাকুর ৩৫ রানে ১ উইকেট, পান্ডিয়া ২২ রানে ১ উইকেট ও সুরেশ রায়না ২৭ রানে ১ উইকেট নেন।