রো-রা ধামাকার পর, চাহাল-যাদবের ভেল্কিতে শ্রীলঙ্কার সিংহরা ঢুকল গুহায়
অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার নিয়ে আর পরিণত রোহিত শর্মা। রোহিতের রেকর্ডের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ভারত।
মাত্র ৩৫ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরানেই ম্যাচের ভবিতব্য স্থির হয়ে গিয়েছিল। একা রামে রক্ষে নেই এদিন আবার রোহিতের দোসর হয়েছিল লোকেশ রাহুল। আর তারপর চাহাল আর কুলদীপ যাদবের ভেল্কি শুরু হতেই শ্রীলঙ্কার সিংহরা ভয়ে জুজু। পেরেরা-থরঙ্গা ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ।
হিটম্যানের মারকাটারির পর রাহুল-ধোনির ব্যাটের ঝলক দেখেছেন হোলকারের র্শকরা। শ্রীলঙ্কার বোলারদের দুরমুশ করে ভারত বিরাট স্কোর ২৬০-এ পৌঁছে যায়। আর যাই হোক সেই রান তাড়া করার মতো ক্ষমতা শ্রীলঙ্কার এই টিমের ছিল না। উপুল থরঙ্গা আর কুশল পেরেরা শুরুতে মাঠ মাতিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হার মানলেন শ্রীলঙ্কা।
এদিন হোলকার স্টেডিয়ামের দর্শকদের দারুণ আনন্দ উপভোগ করলেন। রো-হিটের সবচেয়ে দ্রুত শতরান রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলা, তারপর রাহুল-ধোনির ধামাকা, পেরেরা-থরঙ্গারাও হিট। শেষে কুলদীপ আর চাহাল দেখালেন ভেল্কি কাকে বলে। আর সব মিলেয় পয়সা উসুল করে নিলেন দর্শকরা।
এদিন মাত্র ১২ তম ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের বলে চার মেরে শতরান করেন রাহুল। ৪৩ বলে ১১৮ রান করে আউট হন মুম্বই ড্যাশার। যেকোনও ফর্মাটে কোনও ভারতীয়দের করা দ্রুততম শতরান এটা। একটার পর একটা কীর্তি গড়েই চলেছেন রো-হিট।
৩০ বছরের রোহিত শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। ২৩ বলে ৫০ করার পর ৩৫ বলে শতরান করে নেন তিনি। রোহিত ফেরার পর ক্রিজে নামেন ধোনি। তিনি ২১ বলে ২৮ রান করেন। রাহুলের ব্যাট থেমে যায় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১১ রান দূরে। ৪৯ বলে ওই রান সংগ্রহ করেন রাহুল।
তারপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরাও এদিন দারুন ক্রিকেট উপহার দিচ্ছিলেন। ১৩ ওভারে দেড়শোর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। তখন মনে হচ্ছিল তুল্যমূল্য লড়াই হবে। কিন্তু কুলদীপ থরঙ্গাকে ফেরাতেই ঝরে পড়ল শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। কুলদীপ তিনটি, চাহাল চারটি এবং উনদকাট ও পান্ডিয়া একটি করে উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কা ১৭২ রানে গুটিয়ে যায়।