বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টেস্টের ইতিহাসে লজ্জার হার ভারতের
লজ্জার হার ভারতের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম লজ্জার হারের সাক্ষী থাকল টিম ইন্ডিয়া। ঐতিহাসিক লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংসে হারল ভারত।
লজ্জার হার ভারতের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম লজ্জার হারের সাক্ষী থাকল টিম ইন্ডিয়া।
ঐতিহাসিক লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংসে হারল ভারত। এক ইনিংস সহ ১৫৯ রানে হারতে হল ভারতকে।
ইংল্যান্ডের পেস জুটির কাছে এদিন দাঁড়াতেই পারল না ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসের ভারতীয় ব্যাটিংয়ের যে ভরাডুবির সাক্ষী থেকে ছিল ক্রিকেট বিশ্ব, সেই একই দৃশ্যেরই অ্যাকশান রিপ্লে হল লর্ডস টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে।
মুরলী বিজয় হোক বা চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি হোক বা অজিঙ্ক রাহানে, সকলেই ব্যর্থ ব্যাট হাতে। এদিন প্রথম সেশনে কিছুটা রান বাড়িয়ে নিয়ে ২৮৯ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ১৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা যখন খেলছিলেন, তাঁদের খেলা দেখে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ধারাভাষ্যকারদের মনে হয়েছিল ধীরে ধীরে হয়ত ব্যাটিং সহায়ক হচ্ছে উইকেট। যে উইকেটে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারের দাপট দেখালেন, নিশ্চয়ই সেই উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের মেলে ধরবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
উইকেট যে একই রয়েছে, ফারাক শুধু টেকনিক এবং যোগ্যতার তা প্রমাণ হয়ে গেল ভারতীয় দল ব্যাট হাতে নামতেই। প্রথম ইনিংসে মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুরলী বিজয়। মুরলীর ওপেনিং সঙ্গী কেএল রাহুল-ও রান পাননি ব্যাটে। ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। রান পাননি চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানে এবং বিরাট কোহলিও। কোহলি এবং পূজারা আউট হন ১৭ রান করে। ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অজিঙ্ক রাহানে।
কোহলি এবং পূজারার খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ধীরে ধীরে একটা পার্টনারশিপ গড়ার লক্ষ্যে এগচ্ছে ভারত, কিন্তু সেই ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। এই ইনিংসে মুরলীর মতোই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দীনেশ কার্তিকও। ঋদ্ধিমান সাহার চোট থাকাও বহু বছর পর টেস্ট দলের দরজা খুলেছিল দীনেশের জন্য। কিন্তু দু'টি টেস্টে যে পারফরম্যান্স তিনি করলেন, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত ভাবে বলা যেতেই পারে যে লর্ডসের মাটিতেই কেরিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলে ফেললেন কার্তিক।
তবে, টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন হার্দিক পান্ডিয়া এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দু'জনে মিলে গড়েন ৫০ রানের উপর পার্টনারশিপ। ২৬ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হার্দিক। হার্দিক আউট হওয়ার পরই বাকি তিনটি উইকেট পরে তাড়াতাড়ি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে দুরন্ত বোলিং করেন জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রড। দু'জনেই চারটি করে উইকেট নেন। দু'টি উইকেট নেন ক্রিস ওকস। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ন'টি উইকেট নিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ব্রডের উইকেট সংখ্যা পাঁচটি।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বেন স্টোকসের পরিবর্তে লর্ডস টেস্টে সুযোগ পাওয়া ক্রিস ওকস। চোট সারিয়ে দেশের জার্সিতে নিজেকে উজাড় করে দিতে স্টোকস যে ফের তৈরি, তা প্রমাণ করে দিল লর্ডস টেস্ট।
লর্ডস টেস্টে জয়ের ফলে পাঁচ টেস্টে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে মুখোমুখি এই দুই দল। ১৮ অগস্ট থেকে শুরু ভারত বনাম ইংল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট।