বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচ - মতামতের ভিন্ন মেরুতে দুই প্রাক্তন পাক কিংবদন্তি
জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শোয়েব আখতার - আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এ ভারতের পাকিস্তানকে বয়কট করা নিয়ে ভিন্ন মতামত এই দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের।
বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচ খেলা নিয়ে সীমান্তের এই পাড়ে বিতর্ক ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট। একদল বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সব ক্রিকেট সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়া হোক। বয়কট করা হোক বিশঅবকাপের ম্যাচও। আরেক দলের মত বিশ্বকাপের ম্যাচ না খেললে ক্ষতি ভারতেরই।
এইবার এই বিতর্ক পাড়ি দিল সীমান্তের ওই পাড়েও। ভারতের মতো পাকিস্তানেও পুলওয়ামর ঘটনার পর ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলা উচিত কিনা - এই প্রশ্নে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান নিলেন দুই প্রাক্তন পাক কিংবদন্তি জাভেদ মিয়াঁদাদ ও শোয়েব আখতার। একজন যখন পুলওয়ামার ঘটনার নিন্দা করে দাঁড়ালেন ভারতের পাশে, অপরজন একহাত নিলেন ভারতীয় বোর্ডকে।
শোয়েব আখতার
প্রাক্তন এই পাক জোরে বোলার পুলওয়ামার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তবে জানিয়েছেন পারকিস্তানের নাগরিক হিসেবে তিনি পাক প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিকেই সমর্থন করেন। তবে তিনি সেই সঙ্গে জানিয়েছেন এই ঘটনার পর ভারতের ১০০ ভাগ অধিকার আছে পাক ম্য়াচ না খেলতে চাওয়ার। এই নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে না।
জাভেদ মিয়াঁদাদ
একেবারেই অন্য মেজাজে দেখা গিয়েছে মিয়াঁদাদকে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি)-ই জানা গিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড পাক ম্যাচ বয়কট করা নয়, বরং আইসিসির উপর চাপ দিয়ে পাকিস্তানকেই বিশ্বকাপ থেকে নির্বাসিত করার চেষ্টা করতে পারে। এর তীব্র সমালোচনা করে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ভারতীয় বোর্ড চাইলেই হবে না। আইসিসির সংবিধান অনুযায়ী সকল সদস্য দেশের বিশ্বকাপে খেলার অধিকার আছে। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেন সৌরভ রাজনীতি করতে চাইছেন।
ভারত-পাক বয়কটের সপক্ষে
ভারতীয় ক্রিকেট মহলে ভারত-পাক বিশ্বকাপের ম্য়াচ বয়কটের দাবি প্রথম তুলেছিল ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া। এরপর এই দাবির পক্ষে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে হরভজন সিং, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনকী বর্তমান দ০লের সদস্য যুজবেন্দ্র চাহালকেও।
ভারত-পাক বয়কটের বিপক্ষে
ম্যাচ বয়কট করলে ভারত যে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে তা প্রথম জানিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার চেতন চৌহান। এরপর বৃহস্পতিবার কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারও ম্য়াচ বয়কটের বিরুদ্ধেই মত দেন। শুক্রবার এই দলেই ভোট দিয়েছেন আরেক কিংবদন্তি সচিনও।