বাতিল হতে পারে ইংল্যান্ড সিরিজ? লোধা কমিটির সুপারিশ নিয়ে একগুঁয়ে অবস্থান ভারতীয় বোর্ডের
বোর্ডের এই একগুঁয়ে মনোভাবের কারণেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ নেমে আসলে আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড ক্রিকেট দ্বৈরথ বাতিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
নয়াদিল্লি, ৪ নভেম্বর : ভারত বনাম ইংল্যান্ড আসন্ন সিরিজ বাতিল হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা বোর্ড সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর ও সচিব অজয় শিরকের সৌজন্যেই বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বোর্ড বনাম লোধা কমিটি সমরে ক্ষতি যদি কারও হয় তা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরই হবে। [ইংল্যান্ড সিরিজের ভারতীয় দল]
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফে ভারতীয় বোর্ডকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে লোধা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করতে বলা হয়েছিল। বোর্ডের জানানোর কথা ছিল যে লোধা কমিটির সমস্ত সুপারিশ তারা মানছেন। তবে এখনও পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের তরফে কেউ লোধা কমিটির কাছে লিখিত তো দূর, যোগাযোগই নাকি করেননি। [রাজ্য সংস্থাগুলিকে অনুদান দেওয়া যাবে না, বিসিসিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
বোর্ডের এই একগুঁয়ে মনোভাবের কারণেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ নেমে আসলে আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড ক্রিকেট দ্বৈরথ বাতিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। [ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ হোক, চান না এই ভারতীয় ক্রিকেটার]
কয়েকদিন আগে বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল যে, ভারত সফর নিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে মউ (মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সই করতে পারছে না তারা। তা শুনে লোধা কমিটি জানায়, ইংল্যান্ডের ভারত সফর ও মউ সইয়ের মতো বিষয়গুলি কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের আওতায় পড়ে না। এক্ষেত্রে ভারতীয় বোর্ডের কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। [সময় নষ্ট না করে লোধা কমিটির সুপারিশ মানুন, বিসিসিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
তবে রাজ্য সংস্থাগুলিকে আর্থিক অনুদান দিতে হলে তা লোধা কমিটির সুপারিশ মেনেই দিতে হবে। এক্ষেত্রে অনুমতিও নিতে হবে। সেই মর্মে যদি ভারতীয় বোর্ড ইংল্যান্ড সিরিজ বাতিল করে সেক্ষেত্রে কমিটির কিছু করার নেই।
বিসিসিআই সূত্রে খবর, লোধা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগের শেষ তারিখ ৫ নভেম্বর। ফলে এখনও কিছুটা সময় বাকী রয়েছে। আর তাছাড়া মউ সইয়ের বিষয়টি যে লোধা বা আদালতের বিচার্য নয় তা কারও জানা ছিল না।
লোধা প্যানেলের সেক্রেটারি গোপাল শঙ্করনারায়ণ জানিয়েছেন, ক্রিকেটীয় ক্যালেন্ডারে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য কমিটির সুপারিশ যার কথা সুপ্রিম কোর্ট ১৮ জুলাই, ৭ অক্টোবর ও ২১ অক্টোবরের শুনানিতে উল্লেখ করেছে তা মানলেই সবচেয়ে উপকৃত হবে ভারতীয় বোর্ড।
আরও জানা গিয়েছে যে, আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে আইপিএল সংক্রান্ত চুক্তিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছে যাতে টেন্ডারের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যায়। এক্ষেত্রে সময়ের আগেই বিসিসিআই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়ে দেবে বলে জানা গিয়েছে।