অতীতের রেকর্ড বজায় রেখে কেপটাউনে অসহায় আত্মসমর্পণ, ৭২ রানে লজ্জার হার কোহলি ব্রিগেডের
ঘরের মাটিতে একেরপর এক সিরিজে সিংহবিক্রম দেখালেও বিদেশের মাটিতে সেই তেজ যথারীতি উধাও। অতীতের পরম্পরা বজায় রেখে বিদেশের মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট যথারীতি হেরে শুরু করল ভারত।
ঘরের মাটিতে একেরপর এক সিরিজে সিংহবিক্রম দেখালেও বিদেশের মাটিতে সেই তেজ যথারীতি উধাও। অতীতের পরম্পরা বজায় রেখে বিদেশের মাটিতে সিরিজের প্রথম টেস্ট যথারীতি হেরে শুরু করল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাড়া জাগানো বোলিং করেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় কেপটাউনে সিরিজের প্রথম টেস্ট ৭২ রানে হারল ভারত।
তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার পর চতুর্থ দিন খেলা শুরু হতেই প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে ধস নামান ভারতের জোরে বোলাররা। কেপটাউনের উইকেটে বল হাতে পেস বোলিংকে নেতৃত্ব দেন বাংলার মহম্মদ শামি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন জসপ্রীত বুমরাহ।
দুজনে মিলে তুলে নেন ছয়টি উইকেট। বাকী ২টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়া। তবে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল, দিনের শুরুটা প্রোটিয়ারা করেছিল ৬৫ রানে ২ উইকেট অবস্থায়। তার পরের ৬৫ রানের মধ্যে ৮ উইকেট ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩০ রানে গুটিয়ে দেয় শামি-বুমরাহরা।
মাত্র ২০৮ রান করলে টেস্টে জয় আসবে, এমন অবস্থায় দলের ৩০ রানের মাথায় ভারতের প্রথম উইকেট পড়ে। মর্নি মর্কেলের বাউন্সারে ১৬ রান করে আউট হয়ে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। তারপরে একে একে মুরলী বিজয় (১৩ রান) ও চেতেশ্বর পূজারার (৪ রান) উইকেট পড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় ভারত।
সেখান থেকে ভারতকে কিছুটা টেনে তোলেন অধিনায়ক কোহলি। ছোট পার্টনারশিপ গড়ে এগোচ্ছিলেন, তবে ফিলান্ডারের মিডল-লেগ স্টাম্পের বল মিস করে প্যাডে লাগিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ২৮ রানে।
ব্যস ফের একবার ধস নামে ভারতীয় ব্যাটিংয়ে। পরপর আউট হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা (১০ রান), হার্দিক পান্ডিয়া (১ রান), ঋদ্ধিমান সাহা (৮ রান)। তখন ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছে মাত্র ৮২ রানে। জয়ের জন্য তখনও চাই ১২৬ রান।
শেষদিকে অশ্বিন (৩৭ রান) ও ভুবনেশ্বর কুমার (১৩ রান) চেষ্টা করলেও প্রোটিয়া বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় ছিল না। শেষপর্যন্ত ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩৫ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২ রানে টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল। আর ভারত বরাবরের মতো বিদেশের মাটিতে পুরনো ট্র্যাডিশন বজায় রেখে টেস্ট হেরে সিরিজ শুরু করল।
প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়ার পরে ভেরন ফিলান্ডার দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে একা ভেঙে দেন ভারতীয় ব্যাটিংকে। মর্নি মর্কেল ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট পান।