দলে ফিরেই ভয়ঙ্কর বুমরা! ৩০০ রানেরও কমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংস বেঁধে রাখল ভারত
পুনেতে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ৫০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ৯ উইকেটে ২৮৩ রানেই বেঁধে রাখলেন ভারতীয় বোলাররা।
একদিনের ম্যাচে দলে ফিরেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন বুমরা। ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। নিট ফল শাই হোপের আরও এক ভাল ইনিংস (১১৩ বলে ৯৫)-এর পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ৯ উউইকেট হারিয়ে মাত্র ২৮৩ রান তুতে পারল। বুমরার সঙ্গী ভূবনেশ্বর কুমার অবশ্য ওভার প্রতি ৭ করে রান দিলেন।
প্রথম দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং-এ যে ছন্দ দেখা গিয়েছিল, প্রথম থেকেই এদিন তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন ভারতের একদিনে দলে ছিলেন এক নম্বর বোলার জুটি ভূবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রীত বুমরা। প্রথম থেকেই আগুনে বল করা শুরু করেন বুমরা। নিটফল প্রথম পাওয়ার প্লেতে আগের দুই ম্যাচে যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল যথাক্রমে ৫৯/১ ও ৭২/২, সেখানে এদিন তারা ২ উইকেটহারিয়ে ৪৬-এর বেশি তুলতে পারেনি।
১০ ওবারের মধ্যেই ফিরে যান কিয়েরন পাওয়েল (২১) ও চন্দ্রপল হেমরাজ (১৫)। দুজনেই বুমরার শিকার। অভিজ্ঞ মার্লন স্যামুয়েলস (৯) এদিনও ব্যর্থ হন। তাঁর উইকেটটি নেন তরুণ বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ। এরপর টুর্নামেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় দুই ভরসা শাই হোপ ও শিমরন হেতমিয়ার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের হাল ধরেছিলেন।
হেতমিয়ার তাঁর স্বভাবসিদ্ধ মারকুটে ব্য়াটিং-ও শুরু করেছিলেন। কিন্তু ২০তম ওভারে ২১ বলে ৩৭ রান করেই তাঁকে ফিরতে হয় কুলদীপ যাদবের বলে। ৩ ওভার পরেই রোভম্য়ানকেও (৪) তুলে নেন কুলদীপ। ইনিংস টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজে নেমেছিলেন শাই হোপ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (৩২)। কিন্তু কুলদীপের সামনে তাঁদের রান তোলার গতি থমকে যায়। ২০ থেকে ৩০ ওভারের মধ্যে মাত্র ৩১ রান ওঠে ১ উইকেট হারিয়ে।
৭৭ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করার পর মেরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন হোপ। কিন্তু ৩৯ তম ওভারে আউট হল হোল্ডার। তাঁকে আউট করেন ভূবনেশ্বর। ৪৪তম ওভারে বুমরার একটি দুরন্ত ইয়র্কারে শতরান হারান শাই হোপ। শেষ দিকে অ্যাশলে নার্স ৪ টি চার ও ৩টি ছয় মেরে ২২ বলে ৪০ রানের ইনিংস না খেললে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরও কম রানেই আটকে যেত।
আরেকজনের কথা উল্লেখ করতেই হবে। তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। শুক্রবারই তাঁকে টি২০ দল থেকে বাদ দিয়েছেন নির্বাচকরা। পরের দিন ম্যাচেই উইকেটের পিছনে অসাধারণ ক্ষিপ্রতার পরিচয় দিলেন তিনি। প্রথমে খলিলের বলে স্যামুয়েলস-এর ক্যাচ ও পরে কুলদীপের বলে হেতমিয়াকে স্টাম্প করেন তিনি।