দিন-রাতের ম্যাচ শেষ হল সুর্য ডোবার আগেই! সংক্ষিপ্ততম ম্যাচ জিতে ভারত সিরিজ জিতল ৩-১ ফলে
তিরুবনন্তপুরমে পঞ্চম ওডিআই-তে সহজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারাল ভারত।
তিরুবন্তপুরমে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের ভবিষ্যত নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসের পরই। মেঘলা আবহাওয়ায় টসে জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়ে ভারতের বোলারদের দাপটে মাত্র ১০৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানটা শুধুমাত্র শিখর ধাওয়ান (৬)-এর উইকেট হারিয়েই ১৪.৫ ওভারে তুলে দিলেন রোহিত শর্মা (৬৩*) ও বিরাট কোহলি (৩৩*)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেওয়া রবীন্দ্র জাদেজা।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করার সময়ে পিচকে যতটা ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছিল রোহত ব্যাট করার সময় মনে হল দ্বিতীয় ইনিংস বোধহয় অন্য পিচে হচ্ছে। ৫টি চার ও ৪টি ছয় মেরে তিনি একদিনের ক্রিকেটে তাঁর ৩৮তম অর্ধশতরান করেন। নিট ফল দিন রাতের ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সূর্য ডোবার আগেই।
তবে এই সহজ জয়ের মধ্যেও চিন্তা রয়ে গেল ওপেনা শিখর ধাওয়ানের খারাপ ফর্ম। ৫ বল খেলে একটি বাউন্ডারি-সহ মাত্র ৬ রান করেই তিনি ওশানে থমাসের বলে বোল্ড হয়ে যান।
এদিনের নায়ক অবশ্য ভারতের বোলাররা। ভূবনেশ্বর, বুমরা, খলিল, জাদেজা, কুলদীপ প্রকত্যেকেই আজ সফল। শুরুতে মেঘলা আবহাওয়ার ফায়দা তুলে দুই জোরে বোলার ভূবি-বুমরা জুটি দারুণ বল করেন। যার ফলে প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৬ রান উঠেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাতেই আরও চাপে পড়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটম্যানরা।
প্রথম তিন ম্যাচের তাদের ব্য়াটিং গাড়ি তড়তড়িয়ে এগোচ্ছিল। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে তাদের ব্যাটিং-এর আত্মসমর্পন দেখে মনে হল যেন সেই গাড়ির তেল ফুরিয়ে এসেছে। রোভম্যান পাওয়েল (১৬), মার্লন স্যামুয়েলস (২৪) ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার (২৫) ছাড়া তাদের কোনও ব্যাটসম্যান এদিন দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছতে পারেননি।
জাদেজার ৪ উইকেটের পাশাপাশি খলিল ও বুমরা ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া ভূবনেশ্বর ও কুলদীপ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
সিরিজের সেরা কে সেটা নিশ্চয়ই বলার দরকার নেই। পাঁচ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বিরাট কোহলি ৪৫৩ রান করে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করলেন।
এদিন মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতের জার্সিতে একদিনের ম্যাচে ১০,০০০ রান পূরণ করবেন ভেবে তাঁর কেরলের ভক্তরা তাঁর একটি ৩৫ ফুটের কাটআউট বানিয়েছিলেন। সেই কীর্তিতে পৌঁছতে ধোনির মাত্র ১ রান বাকি ছিল। কিন্তু এদিন তিনি ব্যাট করার সুযোগই পেলেন না।