অ্যাক্সিডেন্টের পর ক্রিকেটে ফেরাই কঠিন ছিল, গাইড করেছিলেন পোলার্ড,অধিনায়কের প্রতি কৃতজ্ঞ পুরান
২০১৫ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। যারপর কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাঁ-হাতি প্রতিশ্রুতিময় ক্রিকেটার নিকালাস পুরান।
২০১৫ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। যারপর কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাঁ-হাতি প্রতিশ্রুতিময় ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান। কঠিন সময় পার করে দলে এখন অন্যতম নির্ভরশীল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পুরান। বাইশ গজে এই প্রত্যাবর্তনের জন্য সতীর্থ অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডকে কৃতজ্ঞতা জানালেন পুরান।
ঠিক কী ঘটেছিল
২০১৫ সালে প্রস্তুতি সেরে বাড়ি ফেরার সময় দুটি গাড়ির রেষারেষিতে পুরান চোট পেয়েছিলেন। সেই সময়ে পুরানের বয়স ছিল মাত্র ১৯। ত্রিনিদাদে গাড়ি দুর্ঘটনায় বাঁ-পায়ে চোট পেয়েছিলেন পুরান। পুরানের গাড়িতে এসে অন্য একটি গাড়়ি ধাক্কা মেরেছিল। যার ফলে গাড়ি থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন পুরান। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনায় ডান পায়ে গোড়ালি ভেঙেছিল, সেই সঙ্গে বাঁ-পায়ের পেশিতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন পুরান।
|
ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন পুরান
সেই দুর্ঘটনার পর সাত মাস পর সুস্থ হন পুরান। ক্রিকেটে ফিরে এরপর আর পিছন ফিরে তাকাননি। পুরান পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'সুস্থ হয়ে প্রথমেই আর কোনও দিন ক্রিকেট খেলতে পারব কিনা, সেই প্রশ্ন করেছিলাম। অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তাররা আশা জাগিয়েছিল।'
পোলার্ডকে নিয়ে যা বললেন পুরান
এই কঠিন সময়ই পোলার্ড দারুণভাবে পুরানকে সমর্থন করে গিয়েছেন বলে বাঁ-হাতি ক্রিকেটার উল্লেখ করেছেন। পুরান বলেন,'পোলার্ড ভালো ক্রিকেটারের চেয়েও ভালো মনের মানুষ। কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়টায় পোলার্ড বাবার মতো গাইড ও মোটিভেট করে গিয়েছে। ওর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
পুরানের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার
ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক শেষ ওডিআই ম্যাচে ৬৪ বলে ৮৯ রান হাঁকিয়েছেন পুরান। সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। ৪৭ বলে ৭৫ রান করেন পুরান। দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৯টি ওডিআই ম্যাচে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন পুরান। সবমিলিয়ে সংগ্রহ ৭২৮ রান।