চোট পেয়ে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যেতে চাননি হার্দিক-বুমরাহ, এনসিএ-র ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন
চোট পেয়ে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যেতে চাননি হার্দিক-বুমরাহ, এনসিএ-র ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন
ভারতীয় উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহার চোটের সময় প্রশ্নটা উঠেছিল! এবার ভুবনেশ্বর কুমার তিন মাসের ব্যবধানে ফের চোটের কবলে পড়ার আরও এবার এনসিএ তথা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
ভুবির চোট
এনসিএতে রিহ্যারের পর ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টিয়েন্টি সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ভুবনেশ্বর। এরপর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই মাত্র দুই ম্যাচ খেলে ফের চোটের কবলে পেসার। ভুবির ডানপায়ের কুচকিতে চোট ধরে পড়েছে। সেক্ষেত্রে রিহ্যাব পরবর্তী সময় ডাক্তারি পরীক্ষায় কি কোনও ধরনের ক্রুটি থেকে যাচ্ছে, যেকারণে ক্রিকেটাররা বারবার চোটের কবলে পড়ছেন! এনসিএ-র ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
ভুবির চোট কবে থেকে
প্রসঙ্গত ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপের সময় ম্যাঞ্চেস্টারে পাকিস্তান ম্যাচে ভুবি হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। পরে সাইড স্ট্রেনের জন্য ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজে ছিলেন না। এনসিএ প্রায় তিন মাস রিহ্যারের পর ফিট সার্টিফিকেট পেয়ে মাঠে ফেরেন। যারপর মাত্র দুটি ম্যাচ খেলতে পারলেন ভুবি!
এনসিএর ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন
এমন কী এই তিন মাসে ভুবির একাধিক পরীক্ষা হলেও কেন হার্নিয়া ধরা পড়ল না। সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রত্যাবর্তনের পর মাত্র দুই ম্যাচ পরেই এবার ভুবির হার্নিয়া ধরে পড়েছে। এর আগে ঋদ্ধিমান সাহার আঙুলের চোটের সময়ও এনসিএ-র পর্যবেক্ষণ নির্ভুল কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছিল। ভুবিকে এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচার করতে হলে সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে যেতে পারেন ভারতীয় এই অভিজ্ঞ পেসার।
এনসিএতে যেতে যাননি হার্দিক ও বুমরাহ
এবার এক রিপোর্টে উঠে আসছে আরও বড় তথ্য। পিঠের চোটের কারণে পেসার জসপ্রীত বুমরাহ ও অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, চোটের পর দুই ক্রিকেটার নাকি এনসিএকে চিকিৎসা করাতে চান নি।
এনসিএতে ট্রেনিংয়ের পরিবর্তে পৃথক ট্রেনিং দুই ক্রিকেটারের
বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের চিকিৎসা থেকে রিহ্যাব পুরোটাই বেঙ্গালুরুর এনসিএতে হয়। বোর্ডের একটি মহলের সূত্রে জানা গিয়েছে,'ব্যক্তিগতভাবে দুই ক্রিকেটারই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে এনসিএতে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। পৃথকভাবে সেকারণে যোগেশ পার্মা পান্ডিয়ার পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন এবং জসপ্রীতের রিহ্যারের সময় দায়িত্বে ছিলেন নিতিন প্যাটেল।
পরে সুস্থ হয়ে ওঠার পর বুমরাহ ও পান্ডিয়া দুই ক্রিকেটারই এনসিএতে ট্রেনিং করার পরিবর্তে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের ট্রেনার রজনীকান্ত সিভাগনানামের কাছে ট্রেনিং করেছেন।