IPL 10 : লিন-নারিন জুটির ব্যাটিং বিস্ফোরণ, ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে সহজ জয় কলকাতার
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে অসাধারণ জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১৫৮ রান তাড়া করতে নেমে ২৯ বল বাকী থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল কেকেআর।
বেঙ্গালুরু, ৭ মে : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে অসাধারণ জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে আরসিবি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিস্ফোরণ কেকেআরের। প্রথম ৬ ওভারে ১০৫ রান করে ফেলে কেকেআর। যা আইপিএলের রেকর্ড।
এর পাশাপাশি এদিন ওপেনিংয়ে নেমে সুনীল নারিন মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান করেন যা সর্বকালীন আইপিএল রেকর্ড। ফলে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯ বল বাকী থাকতে জয় ছিনিয়ে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএলের এই মরশুমে বোধহয় আর ম্যাচ জেতা অধরা থেকে গেল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অতিমানবীয় ব্যাটিং বিক্রমে ফের ম্যাচ হারল কোহলি অ্যান্ড কোং। এর আগে কেকেআরের বোলিং বিক্রমে মাত্র ৪৯ রানে অলআউট হয়ে আইপিএলে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড তৈরি করে আরসিবি।
আর ফিরতি লেগের ম্যাচে বোলিংয়ের পর এবার বিস্ফোরক ব্যাটিং করে ম্যাচ ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড করে দ্রুততম অর্ধশতরান করলেন সুনীল নারিন। মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। তাছাড়া পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারের মধ্যে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১০৫ রান করে ফেলে কেকেআর।
এদিন বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে টসে জিতে ফিল্ডিং নেন গৌতম গম্ভীর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভাগ্য বদলায়নি আরসিবির। প্রথম বলে উমেশ যাদবের বলে আউট হয়ে ফেরেন ক্রিস গেইল। এরপর কোহলি (৫ রান) ও এবি ডিভিলিয়ার্সও (১০ রান) তাড়াতাড়ি ফিরে যান।
তবে চতুর্থ উইকেটে লম্বা পার্টনারশিপ গড়েন মনদীপ সিং ও ট্রাভিস হেড। মনদীপ ৫২ করে আউট হলেও হেড ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ফলে আরসিবিও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের সম্মানজনক স্কোরে শেষ করে।
জবাবে রান তাড়া করতে কলকাতার হয়ে ওপেন করতে নামেন চোট সারিয়ে ফেরত আসা ক্রিস লিন ও সুনীল নারিন। এবং প্রথম ওভার থেকেই দুজনে ব্যাট হাতে আক্রমণ করে ছিন্নভিন্ন করে দেন আরসিবি বোলিংকে। দুজনের মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন নারিন। তিনি মাত্র ১৫ বলে অর্ধশতরান করে সবচেয়ে কম বলে আইপিএলে ৫০ রান করার রেকর্ড গড়েন। তাঁর মারের হাত থেকে বাদ যাননি আরসিবির কোনও বোলারই।
অন্যদিকে ক্রিস লিনও মাত্র ২১ বলে ফের একবার ব্যাটিং তাণ্ডব দেখিয়ে অর্ধশতরান করে ফেরেন। সুনীল নারিন মাত্র ১৭ বলে ৫৪ রান করে ফেলেন। ক্রিস লিনও ২২ বলে ৫০ রান করে ফিরলে রান তোলার গতি কিছুটা স্লথ হয়ে যায়। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও চার নম্বরে নামা গৌতম গম্ভীর সিঙ্গলস নিয়ে কলকাতাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান। গ্র্যান্ডহোম ২৮ বলে ৩১ রান করেন। গম্ভীর ১৪ রান করেন। দুজনে আউট হলেও ২৯ বল বাকী থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে কলকাতা।
এদিন জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ওঠার পাশাপাশি প্লে অফে পৌঁছে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অন্যদিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সবচেয়ে খারাপ আইপিএল পারফরম্যান্স করে ১৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সবার শেষেই রইল।