IPL ফাইনালে মুম্বই প্রথম একাদশে থাকছেন কারা? জেনে নিন ফটো ফিচারে
এবার কী জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারবে রোহিতের দল? পুনেকে নাস্তানাবুদ করতে কী হতে পারে মুম্বইয়ের প্রথম একাদশ তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
এই নিয়ে চারবার ফাইনাল খেলতে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ২০১৩ ও ২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই। ২০১০ সালে ফাইনালে উঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে। এবার কী জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারবে রোহিতের দল। পুনের বিরুদ্ধে এই আইপিএলে হারের হ্যাটট্রিক ইতিমধ্যে করে ফেলেছে মুম্বই। ফলে ফাইনালে স্টিভ স্মিথের দলকে হারানো অত সহজ হবে না। পুনেকে নাস্তানাবুদ করতে কী হতে পারে মুম্বইয়ের প্রথম একাদশ তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
পার্থিব প্যাটেল
সমস্ত সমালোচনাকে মোক্ষম জবাব দিয়ে মুম্বইয়ের হয়ে ওপেনিংয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন পার্থিব প্যাটেল। ১৪টি ম্যাচ খেলে প্রায় সাড়ে তিনশো রান করেছেন তিনি। পুনের বিরুদ্ধেও ফাইনালে গ্লাভস হাতে উইকেটের পিছনে দাঁড়াবেন তিনি।
লেন্ডল সিমন্স
জস বাটলারের জায়গায় লেন্ডল সিমন্স খারাপ বিকল্প নয়। এর আগে সিমন্স মুম্বইকে আইপিএল ফাইনাল জিতিয়েছেন অসাধারণ ব্যাটিং করে। এদিনও ওপেনিংয়ে বিস্ফোরক শুরু করতে পারলে অ্যাডভান্টেজ মুম্বই।
রোহিত শর্মা
মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই মরশুমে তেমন ভালো ফর্মে নেই। তবে অসাধারণ অধিনায়কত্ব করে চলেছেন। ঘরের মাঠে রোহিত জ্বলে উঠলে ম্যাচ জেতাতে আর কাউকে প্রয়োজন হবে না মুম্বইয়ের।
অম্বাতি রায়াডু
আইপিএলে মুম্বই দলের অন্যতম ভরসা অম্বাতি রায়াডু। রায়াডু প্রথমদিকে চোট পেয়ে বাইরে চলে গিয়েছিলেন। প্লে অফের শেষে কলকাতা ম্যাচে ফেরত এসে ৩৭ বলে অনবদ্য ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাই এই মরশুমে অনবদ্য পারফরম্যান্স করা নীতীশ রানার জায়গায় ফাইনালেও তাঁকেই সম্ভবত খেলাবে মুম্বই। কারণ রায়াডু অভিজ্ঞতার দিক থেকে অনেক এগিয়ে। আগের ফাইনালগুলিতে তিনি খেলেছেন। ফলে সেটা তাঁকে রানার চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
কায়রন পোলার্ড
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী কায়রন পোলার্ড বহু ম্যাচ মুম্বইকে জিতিয়েছেন। এবছর ব্যাট হাতে ভালো ফর্মেও রয়েছেন। লোয়ার অর্ডারে তাঁর চওড়া ব্যাট বড় ভরসা মুম্বইয়ের।
হার্দিক পাণ্ড্য
আইপিএলে ব্যাটে বলে দারুণ ফর্মে রয়েছেন হার্দিক। বেশ কয়েকটি হারা ম্যাচ মুম্বইকে জিতিয়ে এনেছেন তিনি। ব্যাটিংয়ের শেষদিকে নেমে ফাইনালে বিপক্ষ পুনের বোলারদের পাল্টা আক্রমণ শানাতে তৈরি হার্দিক।
ক্রুণাল পাণ্ড্য
হার্দিকের ভাই ক্রুণালও অসাধারণ ব্যাটিং-বোলিং করে মুম্বইয়ের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন। লোয়ার অর্ডারে ক্রুণালের ব্যাটিং বড় ভরসা দিচ্ছে মুম্বইকে। কলকাতা ম্যাচে অধিনায়কের সঙ্গে ব্যাট করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ফাইনালেও তাঁর দিকে নজর থাকবে সকলের।
করণ শর্মা
আইপিএলের প্রথমদিকে দলে সুযোগ পাননি। তবে শেষদিকে হরভজনের বদলে দলে এসে দারুণ বল করছেন তিনি। কোয়ালিফায়ার ম্যাচে কলকাতার ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন করণ। ফলে ফাইনালে স্পিন বোলিংয়ের গুরুদায়িত্ব তাঁরই কাঁধে।
জসপ্রীত বুমরাহ
এবছরও আইপিএলে মুম্বইয়ের হয়ে অসাধারণ বল করেছেন বুমরাহ। ডেথ ওভারে তাঁর ইয়র্কার ও স্লোয়ার বল বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা খেলতেই পারছেন না। এই মরশুমে মুম্বই বোলিংয়ের বড় ভরসা বুমরাহই। কলকাতা ম্যাচের মতো ফের একবার জ্বলে উঠলে পুনে ম্যাচ সহজে জিতে নেবে মুম্বই।
লাসিথ মালিঙ্গা
এই মরশুমে তিনি বল হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ঠিকই তবে আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিকে ফাইনালে খেলা সহজ হবে না একেবারেই। ছন্দ ফিরে পেলে একা হাতে তিনি শেষ করে দিতে পারেন পুনের ব্যাটিং। কলকাতা ম্যাচে কিছুটা নিজের জাত চিনিয়েছেন মালিঙ্গা। তবে পুনে বা ধোনির বিরুদ্ধে সেভাবে সফল নন এই শ্রীলঙ্কার জোরে বোলার।
মিচেল জনসন
অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলার মিচেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় নাম। বিরাট মাপের পারফরম্যান্স না দিতে পারলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট তুলে নিতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। ফাইনালেও পাওয়ার প্লের মধ্যে উইকেট তোলার দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
{promotion-urls}