দু'শো রান তুলেও জঘন্য বোলিংয়ে চেন্নাইকে ম্যাচ উপহার কলকাতার
প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে দুশো রান তুলেও জিততে পারল না কলকাতা। চেন্নাই এক বল বাকী থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতল।
প্রথমে ব্যাট করে বোর্ডে দুশো রান তুলেও জিততে পারল না কলকাতা। চেন্নাই এক বল বাকী থাকতেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতল। প্রথমদিকে শ্যেন ওয়াটসন ও অম্বাতি রায়াডু ও শেষদিকে স্যাম বিলিংস ও ডোয়েন ব্র্যাভোর ব্যাটিংয়ে ভর করে ১ বল বাকী থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই।
চিপক স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সুনীল নারিন এদিনও শুরুতেই ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দেন। প্রথম ওভারে ব্যাট করতে নেমেই দীপক চাহারকে পরপর ছক্কা হাঁকান। প্রথম ওভারে ১৮ রান তোলার পরের ওভারে হরভজন সিংয়ের বলে আউট হয়ে ফেরেন নারিন। তারপরও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায় কেকেআর। ক্রিস লিন ও রবীন উথাপ্পা পাল্টা মারতে থাকেন। ৫ ওভারে ৪৭ রান তুলে ফেলে কলকাতা।
ষষ্ঠ ওভারে জাদেজাকে মারতে গিয়ে লিন ২৬ রানে আউট হয়ে ফেরেন। এরপরে উথাপ্পা ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন। সেই ওভারেই জাদেজাকে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দেন। অন্যদিকে ক্রিজে ছিলেন নীতীশ রানা। তবে এদিন রানা বেশিক্ষণ টেঁকেননি। ওয়াটসনের বলে ১৬ রানে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। সেই ওভারেই রবীন উথাপ্পা ২৯ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন।
ফলে ফের একবার চাপে পড়ে যায় কলকাতা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে অনভিজ্ঞ রিঙ্কু সিং ২ রানে আউট হয়ে ফেরেন শার্দুল ঠাকুরের বলে। কলকাতা ১০ ওভারে ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে খেলা ধরে নেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল। কার্তিক শিট অ্যাঙ্কারের কাজ করে স্ট্রাইক বজায় রেখে যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে ঝড় তুলে দেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি।
দীনেশ কার্তিক ২৫ বলে ২৬ রান করে ফিরে গেলেও রান তোলা আটকে থাকেনি। রাসেল রুদ্রমূর্তি ধরেন। মাত্র ৩৬ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। তাঁর তাণ্ডবেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০২ রান তোলে কলকাতা।
চেন্নাইকে জিততে হলে করতে হবে ২০৩ রান। এই অবস্থায় শুরু থেকেই ঝড় তোলে সিএসকে। ওপেন করতে নেমে অম্বাতি রায়াডু ও শ্যেন ওয়াটসন ৩.৪ ওভারে ৫০ রান তুলে ফেলেন। ৭৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ১৯ বলে ৪২ রান করে আউট হন ওয়াটসন।
তার পরপরই রায়াডুও ২৬ বলে ৩৯ রান করে মাঠ ছাড়েন। সুরেশ রায়না ভালো শুরু করলেও পায়ে টান ধরায় উইকেট ছুড়ে দিয়ে যান। ১৪ রান করেন রায়না। এরপরই নারিনের বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে কেকেআর।
১১ ওভারে ১০০ রান তোলে চেন্নাই। মহেন্দ্র সিং ধোনি ম্যাচ এগিয়ে নিয়ে যান স্যাম বিলিংসকে নিয়ে। প্রথমে কিছুটা ঠুকে খেললেও পরে হাত খোলেন ধোনি। বিলিংস প্রথম থেকেই মেরে খেলতে থাকেন।
শেষ চার ওভারে বাকী ছিল ৫১ রান। এই অবস্থায় ধোনি ও বিলিংস ফের আক্রমণে যান। ধোনি ২৫ রানে ফিরে গেলেও বিলিংস মাত্র ২১ বলে অর্ধশতরান করেন। শেষপর্যন্ত ২৩ বলে ৫৬ রান করে ফেরেন তিনি।
শেষ দুই ওভারে জেতার জন্য ২৭ রান করতে হতো। এই অবস্থায় উনিশতম ওভারে দশ রান ওঠে। শেষ ওভারে জিততে গেলে ১৭ রান করতে হতো চেন্নাইকে। এই অবস্থায় প্রথম বলেই ফ্রি হিটে ছক্কা দেন বিনয় কুমার। ব্র্যাভো ছয় হাঁকান। তারপরে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বিনয় কুমার। চাপে পড়ে যান তিনি। শেষপর্যন্ত শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।