পঞ্জাবকে ভেন্টিলেশনে পাঠিয়ে প্লে-অফ আরও আকর্ষণীয় করে দিল মুম্বই
শ্বাসরোধ করা ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে তিন রানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে ভেসে রইল রোহিতের দল।
ঘরের মাঠে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সবসময়ই অপ্রতিরোধ্য। তার উপরে প্লে-অফের শেষদিকে রোহিত শর্মার দলকে হারানো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিবারই শেষ ধাপে এসে মুম্বই জ্বলে ওঠে। এবারও তাই হল। ডু অর ডাই ম্যাচে ঘরের মাঠে জ্বলে উঠল মুম্বই। শ্বাসরোধ করা ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে তিন রানে হারিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে ভেসে রইল রোহিতের দল। আর এদিন ম্যাচ হেরে প্লে-অফ কার্যত অনিশ্চিত করে ফেলল রবিচন্দ্রণ অশ্বিনের পঞ্জাব।
মুম্বইয়ের করা ১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্জাব শুরুটা ভালোই করে। ৩.৫ ওভারে মাথায় ক্রিস গেইল ১১ বলে ১৮ রান করে ফেরত যান। দ্বিতীয় উইকেটে কেএল রাহুল ও অ্যারন ফিঞ্চ খেলা ধরেন। ফিঞ্চ করেন ৩৫ বলে ৪৬ রান। কেএল রাহুল করেন ৬০ বলে অনবদ্য ৯৪ রান।
তবে এই দুজেনর পর শেষদিকে আর কেউ ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পারেননি। রাহুল আউট হন যখন তখন ৯ বলে ২১ রান বাকী ছিল। সেখান থেকে ৩ রানে ম্যাচ হারে পঞ্জাব।
মাঝের ওভারে রাহুল ও ফিঞ্চকে আটকে দিয়ে খেলা ধরে নেয় মুম্বই। ওভার প্রতি সবসময়ই ৯ রানের বেশি প্রয়োজন ছিল। ফলে আস্কিং রেট সবসময়ই বেশি ছিল। যেটা পঞ্জাব পার করতে পারেনি।
এদিন হেরে ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে আটকে রইল পঞ্জাব। মুম্বই ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্টে পৌঁছল। নেট রান রেটে মুম্বই অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ফলে ছয় থেকে চার নম্বরে উঠে এল রোহিতের দল। পঞ্জাব চার থেকে নেমে গেল ছয় নম্বরে।
এদিন মুম্বইয়ের হয়ে জসপ্রীত বুমরাহ ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তাঁর স্পেলই পার্থক্য গড়ে দেয় দুই দলে। এছাড়া মিচেল ম্যাকক্লেনেঘনও ২ টি উইকেট নিয়েছেন।
এদিন পোলার্ড মাত্র ২২ বলে ধুন্ধুমার অর্ধশতরান করেন। এদিকে পঞ্জাবের হয়ে অ্যান্ড্রু টাই ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া রবিচন্দ্রণ অশ্বিন ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।