বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ১০ রানে হারাল রাজস্থান রয়্যালস
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ১০ রানে হারাল রাজস্থান রয়্যালস। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল অজিঙ্ক রাহানের ছেলেরা
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ১০ রানে হারাল রাজস্থান রয়্যালস। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল অজিঙ্ক রাহানের ছেলেরা। প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৩ রান করে। জবাবে ৬ ওভারে ৭১ রান করতে হতো দিল্লিকে। শেষপর্যন্ত ৪ উইকেটে ৬০ রানে থামে দিল্লি।
এদিন রাত ৯টা ২৩ মিনিট নাগাদ বৃষ্টিতে খেলা থেমে যায়। সেইসময়ে রাজস্থানের ইনিংসের শেষ ওভার চলছিল। পরে টানা আড়াই ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকার পরে ফের ম্যাচ শুরু হয় রাত ১২টায়। দিল্লিকে জিততে হলে করতে হতো ৬ ওভারে ৭১ রান।
এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও কলিন মুনরো। তবে কোনও বল খেলার আগেই মুনরো রান আউট হয়ে ফেরেন। এরপরে নামেন ঋষভ পন্থ। অন্যদিকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আভাষ দিচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। জয়দেব উনাদকাটের বলে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শেষ তিনবলে ১৪ রান নিয়ে নেন তিনি।
চতুর্থ ওভারে বল করতে আসেন বেন লাফলিন। তিনি আঁটোসাঁটো বোলিং করে আস্কিং রেট বাড়িয়ে দেন। আউট করেন দেন ম্যাক্সওয়েলকেও (১৭ রান ১২ বলে)। এরপরে আর জেতা কঠিন ছিল দিল্লির কাছে।ম্যাচ দিল্লি জিততেও পারেনি।
এদিন টসে জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ডেয়ারডেভিলস অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। আগের ম্যাচের মতোই ডি শর্ট প্রথমেই ৬ রানে আউট হয়ে ফিরে যান। বেন স্টোকস শুরু করেও ট্রেন্ট বোল্টের অসাধারণ বোলিংয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬ রানে ফিরে যান। তৃতীয় উইকেটে সঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে রাহানে খেলা ধরেন।
সঞ্জু ২২ বলে ৩৭ রান করে যান। রাহানেও ৪০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন। শেষদিকে জোস বাটলার ও রাহুল ত্রিপাঠী রাজস্থান ইনিংসকে টানার চেষ্টা করলেও শামির বলে ২৯ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাটলার।
দিল্লির হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ও মহম্মদ শামি ভালো পেস বোলিং করেন। এছাড়া রাহুল তেওটিয়াও ভালো বল করেছেন। শাহবাদ নাদিম ২টি, বোল্ট ১টি, শামি ১টি উইকেট পেয়েছেন। জয়পুরের সোয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে ১৭.৫ ওভারের মাথায় বহক্ষণ বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে ছিল। তারপরে রাজস্থানকে হারাতে দিল্লিকে ৬ ওভারে ৭১ রান করতে হতো। শেষপর্যন্ত দিল্লি থামে ৪ উইকেটে ৬০ রানে।