'এবিডি ৩৬০'-র ব্যাটিং বিক্রমে ঘরের মাঠে পাঞ্জাব বধ ব্যাঙ্গালোরের
এবি ডিভিলিয়ার্সের অসাধারণ ব্যাটসম্যানশিপে ভর করে জয় পেল আরসিবি।
তিনি ক্রিজে থাকলে কোনও টার্গেটই অসাধ্য নয়। এবি ডিভিলিয়ার্সের অসাধারণ ব্যাটসম্যানশিপে ভর করে জয় পেল আরসিবি। প্রথমে বল করে ঘরের মাঠে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ১৫৫ রানে বেঁধে রেখেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বোলাররা। তারপরে বাকী কাজটা করে গেলেন ব্যাটসম্যানরা। রান তাড়া করে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে মরশুমের প্রথম জয় পেল বিরাট কোহলির দল।
আরসিবির ব্যাটিংয়ের এদিন নেতৃত্ব দিলেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ৪০ বলে ৫৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে ব্যাঙ্গালোরের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে জিতিয়ে আসতে পারেননি। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে তিনি অ্যান্ড্রু টাইয়ের বলে ক্যাচ আউট হন।
ততক্ষণে ম্যাচ অবশ্য আরসিবি-র হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ১১ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। মাঝে মনদীপ সিং (২২ রান) রান আউট হয়ে গেলেও জেতা আটকায়নি। শেষ ওভারে আরসিবি জয় তুলে নেয়।
ব্যাঙ্গালোরের হয়ে কুইন্টন ডি কক ৪৫, কোহলি ২১ রান করেন। পাঞ্জাবের হয়ে অধিনায়ক অশ্বিন ২টি, অক্সর প্যাটেল ১টি, মুজিব উর হরমান ১টি ও অ্যান্ড্রু টাই ১টি উইকেট নেন।
এদিন টসে জিতে পাঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠান ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। পাঞ্জাবের শুরুটা হয়েছিল বেশ আক্রমণাত্মকভাবে। প্রথম তিন ওভারে লোকেশ রাহুল ও ময়াঙ্ক আগরওয়ালের জুটি ৩২ রান তুলে ফেলে বিনা উইকেটে। তবে চতুর্থ ওভারে উমেশ যাদব এমন বল করবেন তা বোধহয় আন্দাজ করা যায়নি। পরপর তিন উইকেট এক ওভারে তুলে নেন উমেশ। আর তাতেই ব্যাকফুটে চলে যায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
তারপরে ম্যাচে ফিরে আসে আরসিবি। লোকেশ রাহুল এই ম্যাচেও ভালো খেলে যান। করেন ৩০ বলে ৪৭ রান। করুণ নায়ারের (২৯ রান ২৬ বলে) সঙ্গে অর্ধশতরানের জুটিও হয়। তবে দলের ৯৪ রানের মাথায় রাহুল ফিরে গেলে ফের ধস নামে পাঞ্জাব ইনিংসে।
সেইসময়ে ফের একবার ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যায়। ১১০ রানে ৬ উইকেট হয়ে যায় পাঞ্জাবের। সেখান থেকে অধিনায়ক রবিচন্দ্রণ অশ্বিন কিছুটা লড়াই করে পাঞ্জাবকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন। অশ্বিন ২১ বলে ৩৩ রান করে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে স্টাম্পড হন। পাঞ্জাব ১৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তোলে। তবে এই রান যথেষ্ট ছিল না। শেষপর্যন্ত তিন বল বাকী থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ব্যাঙ্গালোর।