রাজস্থানকে আটকে কম রানের ম্যাচে জেতার হ্যাটট্রিক হায়দরাবাদের
এই আইপিএলে অনবদ্য বোলিং করছেন হায়দরাবাদ বোলাররা। প্রথমে ১১৮ রান, তারপরে ১৩২ রান ও এবার ১৫০ রানের কম স্কোর তুলেও বিপক্ষকে আটকে দিলেন হায়দরাবাদ বোলাররা।
এই আইপিএলে অনবদ্য বোলিং করছেন হায়দরাবাদ বোলাররা। প্রথমে ১১৮ রান, তারপরে ১৩২ রান ও এবার ১৫০ রানের কম স্কোর তুলেও বিপক্ষকে আটকে দিলেন হায়দরাবাদ বোলাররা। এর আগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারানোর পরে এদিন রাজস্থান রয়্যালসকে ১১ রানে হারিয়ে দিল কেন উইলিয়ামসনের দল।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদ বড় রানের দিকে এগোচ্ছিল। ১২ ওভারে ৯৯ রানে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে শেষ ৮ ওভারে মাত্র ৫২ রান তোলে হায়দরাবাদ ব্যাটসম্যানরা। রাজস্থান বোলাররা অনবদ্য বল করেন। কম রানের পুঁজি হাতে রেখে খেলতে নেমেও হায়দরাবাদ রাজস্থানকে ১৪০ রানে আটকে রেখে ১১ রানে জয় তুলে নিল।
হায়দরাবাদের হয়ে সন্দীপ শর্মা (৪ ওভারে ১৫ রানে ১ উইকেট), সিদ্ধার্থ কউল (৪ ওভারে ২৩ রানে ২ উইকেট), ইউসুফ পাঠান (২ ওভারে ১৪ রানে ১ উইকেট) ও রশিদ খান (৪ ওভারে ৩১ রানে ১ উইকেট) অনবদ্য বল করেন। প্রথমদিকে সঞ্জু স্যামসন ৩০ বলে ৪০ রান ও অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৫৩ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জিতিয়ে আসতে পারেননি।
এদিন রাজস্থানের রাহুল ত্রিপাঠী, বেন স্টোকস, জোস বাটলাররা সকলেই ব্যর্থ হন। হায়দরাবাদ বোলারদের কাছে কেউ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি।
এর আগে ১১৮ রানের ম্যাচে মুম্বইকে ৮৭ রানে অলআউট করে ও পঞ্জাব ম্যাচে ১৩২ রান করে অশ্বিনদের ১১৯ রানে আউট করে দেন হায়দরাবাদ বোলাররা। আর এদিন ফের একই ঘটনার পুরনাবৃত্তি ঘটিয়ে প্রথমে ব্যাট করেও ম্যাচ পকেটে পুরল কেন উইলিয়ামসনের দল।
প্রথম ইনিংসেহায়দরাবাদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন শিখর ধাওয়ান ও অ্যালেক্স হেলস। শিখর ৬ রানে ফিরে গেলেও কেন উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে পার্টনারশিপ গড়েন হেলস। আইপিএলে নবাগত হেলস ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন। উইলিয়ামসন ৪৩ বলে ৬৩ করে যান।
এই জুটি ফিরতেই রাজস্থান ম্যাচে ফেরে। পরের দিকে কেউ বড় রান পাননি। মনীশ পাণ্ডে (১৬), শাকিব আল হাসান (৬), ইউসুফ পাঠান (২)-রা ব্যর্থ হন। ফলে বড় রানের ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হয় হায়দরাবাদ।
রাজস্থানের হয়ে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ১৮ রানে ২ উইকেট ও জোফ্রা আর্চার ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া জয়দেব উনাদকাট ও ইশ সোধি ১টি করে উইকেট নেন।
এদিন জেতার ফলে হায়দরাবাদ ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে চলে গেল।