হাতে বাকি ১০ ম্য়াচ, বদল চান বিরাট! প্লেঅফে যেতে কী কী করতে পারেন আরসিবি অধিনায়ক
আইপিএল ২০১৯-এ অবস্থা বদলের জন্য আরসিবির হাতে আর মাত্র ১০টি খেলা বাকি আছে। দেখে নেওয়া যাক, এখান থেকে আরসিবি-কে প্লেঅফে পৌঁছতে বিরাট কোহলির কী করতে পারেন।
বিশ্ব-ক্রিকেট তাঁর নামে শ্রদ্ধাবনত হয়। ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক তিনি। অথচ আইপিএল ২০১৯-এ শুধুমাত্র তাঁরই দল কিনা এখনও জয়ের মুখ দেখতে পায়নি। সম্মান নিয়েই টানাটানি পড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে আরও এক ম্য়াচে হারের পর বিরাট বলে দিয়েছেন হাতে বাকি আছে আর ১০ ম্য়াচ, তাতে দারুণভাবে ফিরে আসতে চান তাঁরা।
একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, আগামী ম্যাচে দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন হবে। বিরাট বলেছেন, আইপিএল খুব বড় টুর্নামেন্ট নয়, তাই চট-জলদি সঠিক টিম কম্বিনেশন বেছে নিতে হবে। বস্তুত শুধু এই বছরই নয়, বরাবরই আইপিএল আরসিবির ব্যর্থতার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা দায়ী করে থাকেন টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যর্থতা-কে।
বাতিল বিদেশী
ক্যারিবিয়ান সেনসেশন শিমরন হেটমায়ারের উপর অনেক ভরসা ছিল আরসিবির। কিন্তু চার ম্য়াচের একটিতেও তিনি দুই অঙ্কের রানই করতে পারেননি। এছাড়া প্রথম চার ম্যাচেই খেলানো হয়েছে মইন আলিকে। তিনি খুব খারাপ না করলেও বিপক্ষ শিবিরের সম্ভ্রম আদায় করার মতোও খেলেননি। তার উপরে বিরাট তাঁকে অলরাউন্ডার নয়, বরং ব্য়াটসম্যান হিসেবেই দেখছেন। কিন্তু তাঁকে বাদ দিলে দলের ভারসাম্য বজায় রাখার মতো বিদেশীদের খেলানোর জায়গা হতে পারে।
জোড়া বিদেশী জোরে বোলার
আরসিবির বোলিং নিয়ে উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি। একমাত্র চাহাল ছাড়া বাকিদের সবার অবস্থা তথৈবচ। চোখে দেখা যাচ্ছে না গতবার দারুণ সফল হওয়া উমেশ যাদবকে। এই অবস্থায় অবিজ্ঞ টিম সাউদি ও সদ্য পাকিস্তান সিরিদজ খেলে আসা নাথান কুল্টার নাইলকে একসঙ্গে ব্যবহার করলে আরসিবির পাওয়ার প্লে ও ডেথ বোলিং-এ আমূল পরিবর্তন আসতে পারে। সেই সঙ্গে সাউদি ও কুল্চটার নাইল, দুজনেই লোয়ার অর্ডারে বড় শট-ও খেলতে পারেন।
ভারতীয়দের উপর আস্থা
আইপিএল-এ বরাবরই আরসিবি খেলতে নেমেছে বড় বড় বিদেশী নাম নিয়ে। কিন্তু চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কেকেআর-এর মতো একাধীকবার আইপিএল জেতা দলগুলি দেখলে বোঝা যাবে, তাদের সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। আরসিবি কিন্তু শিবম দুবে, নবদ্বীপ সাইনি বা প্রয়াস রায়বর্মনদের কারোর উপরই আস্থা দেখাতে পারেনি। ক্রমাগত দলে এসেছেন ও বাদ পড়েছেন। অনেকেই মনে করেন, মঙ্গলবার জয়পুরে দলে প্রয়াস থাকলে রয়্যালস-এর জয়টা সহজ হত না।
পিচ-পাঠ
জয়পুরের পিচে হাল্কা ঘাসের আস্তরণ দেখেই প্রয়াস রায়বর্মনকে বসিয়ে নবদ্বীপ সাইনিকে খেলিয়েছেন বিরাট। ম্য়াচে কিন্তু ছড়ি ঘুরিয়েছেন স্পিনাররাই। এই প্রথম নয়, পর পর চারটি ম্যাচেই পিচ পড়তে ভুল করেছেন অধিনায়ক বিরাট। ম্য়ানেজমেন্টে বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কার্স্টেন-ও রয়েছেন। তাঁদের কিন্তু এই দিকে উন্নতি করতেই হবে। নাহলে সঠিক দল বাছাই কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।