আইপিএল ২০১৯, লিন থেকে রায়ডু - এখনও পর্যন্ত চুড়ান্ত হতাশ করলেন যে ৬ ক্রিকেটার
আইপিএল-২০১৯'এ এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে হতাশ করেছেন এমন ৬ খেলোয়াড়কে দেখে নেওয়া যাক।
দেখতে দেখতে প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল আইপিএল ২০১৯-এর। প্রতিটি দলেরই প্রায় চারটি করে ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্নার, রাসেল, স্যামন কুরানের মতো অনেকেই ইতিমধ্যেই দারুণ পারফর্ম করে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পয়সা উসুল করে দিচ্ছেন। আবার এঁদের পাশাপাশিই এমন অনেকেই আছেন, যাদের পিছনে বহু অর্থ লগ্নি করা হলেও প্রত্য়াশিত সাফল্য তাঁরা পাননি।
দেখে নেওয়া যাক এরকমই পাঁচজনকে, যাঁরা এবারের টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন -
শিমরন হেটমায়ার
নিলামে ৪.২ কোটি টাকা দিয়ে ২২ বছরের নয়া ক্যারিবিয়ান ব্য়াটিং সেনসলেশনকে দলে নিয়েছিল আরসিবি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারত সফরের সময় যে ভঙ্গীতে তিনি ভারতীয় বোলিং-কে ধ্বংস করেছিলেন তাতে তাঁর উপর অনেকটাই ভরসা করেছিলেন বিরাট। কিন্তু ৪ ম্যাচ পরেও একটিও দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি তিনি। ৩.৭৫ গড় ও ৫৭.৬৯ স্ট্রাইক রেট নিয়ে করেছেন মাত্র ১৫ রান। পরের ম্যাচ থেকে বাদ পড়তে চলেছেন তিনি।
জয়দেব উনাদকাট
নিলামে ৮.৪ কোটি টাকা দিয়ে কিনে উনাদকাটকে দলে ফিরিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু সৌরাষ্ট্রকে রঞ্জি ফাইনালে তোলা বাঁহাতি জোরে বোলার এবারের আইপিএল-এ প্রথম তিন ম্যাচ খেলে ১২৪ রান দিয়েছেন। উইকেট পেয়েছেন মাত্র ২টি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ হিসেবে নাম কামানো উনাদকাট শেষ ওভারে ২৮ রান দেন। তারপরের ম্যাচেই তিনি বাদ পড়েছেন দল থেকে।
কিয়েরন পোলার্ড
আইপিএল ২০১৮-এর নিলামে ৫.৪ কোটি টাকা দিয়ে পোলার্ডকে দলে রেখে দিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু, খারাপ ফর্মের জন্য টুর্নামেন্টের মাঝে বসিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এই বছর তাঁকে ধরে রেখেছে মুম্বই। কিন্তু এবারও হয়ত তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার সময় এসেছে। ৩ ম্য়াচে ১১৭.৮৫ স্ট্রাইকরেটে মাত্র ৩৩ রান করেছেন তিনি। বল করেননি এক ওভারও।
ক্রিস লিন
আইপিএল ২০১৮-এর নিলামে অজি ওপেনারকে ৯.৬ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল কেকেআর। এই বছর তাঁকে ধরে রাখে কেকেআর। গত কয়েক বছরে বহু ম্যাচে নারাইনের সঙ্গে কেকেআর-কে বিস্ফোরক সূচনা উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই আইপিএল-এ এখনও পর্যন্ত চেনা লিনকে পাওয়া যায়নি। ৩টি ম্যাচে ১২.৩৩ গড় ও ৯৪.৮৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তিনি রান করেছেন মাত্র ৩৭।
আম্বাতি রায়ডু
গত মরসুমে ২.২০ কোটি টাকা দিয়ে রায়ডুকে কিনেছিল সিএসকে। ৪৩ গড়ে ৬০২ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই বছর চেন্নাইয়ের সুখের সংসারে এখনও পর্যন্ত তিনিই একমাত্র মাথাব্যথা। ৩ ম্যাচ খেলে ১১.৩৩ গড় ও ৬১.৮১ স্ট্রাইকরেটে তিনি করেছেন ৩৪ রান। জাতীয় দলের ৪ নম্বর জায়গাটিও কিন্তু ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে।
বিরাট কোহলি
এই তালিকায় তাঁর নাম বিস্ময় জাগাতে পারে। কিন্তু, এই বছর আইপিএল-এ ৪ ম্য়াচ খেলে মাত্র ১৯.৫০ গড় ও ৯৮.৭৩ স্ট্রাইক রেট নিয়ে বিরাট ৪৮ রান করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্য়াচের ৪৬ রান বাদ দিলে পরিসংখ্যানটা বিরাটের পক্ষে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।