ফিরে দেখা আইপিএল - স্মরণীয় পাঁচ সিএসকে বনাম আরসিবি মোকাবিলা
সিএসকে বনাম আরসিবি আইপিএল ২০১৯-এর উদ্বোধনী ম্যাচের আগে ফিরে দেখা যাক দুই দলের সেরা ৫ মোকাবিলা।
শনিবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস-এর বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জমজমাট মোকাবিলা দিয়ে শুরু হতে চলেছে আইপিএল ২০১৯। দুই দলে ধোনি ও কোহলির মতো দুই মহান ক্রিকেটারের উপস্থিতি বরাবরই আইপিএল-এ এই ম্য়াচ-কে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এই বার তো ক্রীড়াসুচি ঘোষণার পরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় দুই দলের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছিল।
ইতিহাস অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনিদের পক্ষেই রয়েছে। দুই দলের মধ্যে হওয়া মোট ২৩ টি ম্য়াচের মধ্য়ে সিএসকে জিতেছে ১৫টিতে, আর আরসিবি জয় পেয়েছে মাত্র ৭ টিতে। আর একটি ম্য়াচে কোনও ফলাফল হয়নি। দ্বৈরথের ইতিহাসে সিএসকেরই প্রাদান্য থাকলেও দুই দলের মধ্যেই স্মরণীয় কিছু মোকাবিলা হয়েছে। শনিবারের ম্যাচের আগে ফিরে দেখা যাক সেই রকমই সেরা ৫টি ম্য়াচ।
রান্নার গ্যাসে ভরতুকি
যে গৃহস্থে আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি, রান্নার এলপিজি গ্যাসে তারা ভরতুকি খোয়াতে পারেন। জানিয়েছেন বেঙ্কাইয়া নাইডু।
লিগ ম্যাচ, আইপিএল ২০১৪
রাঁচিতে মন্থর পিচে আব্য়াট নিয়ে ডুবেছিল সিএসকে। সুরেশ রায়নার ৪৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের জোরে ২০ ওভারে ১৩৮ তোলে তারা। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে সিএসকের স্পিনারদের সামনে সমস্যায় পড়েছিল আরসিবি। গেইল-কোহলির মতো ব্য়াটসম্রা ১০০-এর নিচে স্ট্রাইকরেটে রান করেন। কিন্তু ৫ বলে ৩টি ছয় ও ১টি চার মেরে খেলা ঘুরিয়ে দেন এবিডি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০। যুবরাজ সিং প্রথম বলে ছয়-সহ রানটা তুলে দিয়েছিলেন।
অমিতবাণী
রাজনীতিবিদদেরও ৬০ বছর পেরলেই অবসর নেওয়া উচিত। একটি সমাবেশ বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে দলের বরিষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী, মুরলী মনোহর যোশী, যশবন্ত সিংকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য দলীয় সভাপতি অমিত শাহের।
কোয়ালিফায়ার ১, আইপিএল ২০১১
সিএসকে ও আরসিবি লিগ পর্বে যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বরে শেষ করেছিল। প্রথম ফাইনালিস্ট নির্ধারকনের ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করেছিল আরসিবি। সেই মরসুমে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ক্রিস গেইল। কিন্তু অশ্বিন তাঁকে মাত্র রানে আউট করার পর বিরাট আরসিবি-কে পৌঁছে দেন ১৭৫ রানে। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল চেন্নাই। রায়না ও বদ্রীনাথ ইনিংসকে থিতু করলেও শেষ ২৪ বলে ৫৮ দরকার ছিল। রকায়না ও অ্যালবি মর্কেল এখান থেকে ঝড় তুলে শেষ ওভারে লক্ষ্যটা ১২-তে নামিয়ে আনেন। শেষ পর্যন্ত মিড উইকেট এলাকা দিয়ে চার মেরে সিএসকে-কে জেতান মর্কেল।
দিল্লিতে পথদুর্ঘটনা
দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির লালা লাজপত রায় মার্গে।
লিগ ম্যাচ, আইপিএল ২০১৮
প্রথম পাওয়ার প্লে-তেই আরসিবি ৫২ রান তুলেছিল। মাঝের ওভারে কুইন্টন ডিকক ও এবিডির দক্ষিণ আফ্রিকান জুটি তোলে ৫৩ বলে ১০৩ রান। শেষের দিকে মনদীপ সিং-এর পাওয়ার হিটিং-এ আরসিবি-র স্কোর পৌঁছায় ২০৫ রানে। রান ড়া করতে নেমে একদিকে রায়ডু একের পর এক বাউন্ডারি মারছিলেন, আরেক প্রান্তে একের পর এক সিএসকের উইকেট পড়ছিল। ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রানে পৌঁছায় তারা। কিন্তু ক্রিজে রায়ডুর সঙ্গে ছিলেন ধোনি। প্রান্ত বদল করে করে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যায় এই জুটি। শেষ ৪২ বলে ৯৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। এখান থেকে গিয়ার বদলে এই জুটি শেষ ৭ ওভারে ১০টি ছয় মারে। ছয় মেরেই দলকে ম্য়াচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন সিএসকে অধিনায়ক।
প্যারিসের জন্য প্রার্থনা
প্যারিস হামলায় পীড়িতদের জন্য প্রার্থনা চলছে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে।
লিগ ম্যাচ, আইপিএল ২০১২
২০১১ সালের ফাইনালে পরাজয়ের পর এটা ছিল সিএসকের বিরুদ্ধে আরসিবির বদলার ম্যাচ। চিত্রনাট্যটাও সেইরকমই লিখতে শুরু করেছিল বেঙ্গালুরুর দল। মায়াঙ্ক আগরওয়াল কোহলি ও গেইলের বড় ইনিংসে প্রথমে ব্য়াট করে আরসিবি করেছিল ২০৫ রান। দুপ্লেসিস ভালো শুরু করলেও শেষ ৯ ওভারে ওভারপ্রতি ১৩ করে রান দরকার ছিল সিএসকে। ধোনি খেলেন ২৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস। কিন্তু তারপরেও শেষ দুই ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল। কোহলির ১৮ তম ওভারে ২৮ রান নিয়ে শেষ ওভারে লক্ষ্যটা ১৫ রানে নামিয়ে আনেন আলবি মর্কেল। শেষ ওভারে ব্রাভোর ১টি করে চার ও ছয়ে সিএসকের শেষ বলে দুই দরকার ছিল। জাদেজা চার মেরে ম্যাচ জেতান।
বেলুন উৎসব
আগরায় শুরু হল তাজ হট এয়ার বেলুন উৎসব। ১৪ নভেম্বর ছিল এই উৎসবের প্রথম দিন।
লিগ ম্যাচ, আইপিএল ২০১৩
প্রথমে ব্য়াট করে কোহলি-এবিডি জুটি আরসিবি-কে ১৬৫ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান তুলে ২ ওপেনারকে হারিয়েছিল সিএসকে। রায়না, বদ্রিনাথ, ধোনি, তিনজনেই ভাল শুরু করেও বড় রান পাননি। জাদেজার দুপরন্ত ব্য়াটিংয়ে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। প্রথম ২ বলে জাদেজা একটি চার ও একটি ছয় হাঁকালেও তার পরের তিন বলে মাত্র ৪ রান আসে। ফলে শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। জাদেজার শট সরাসরি রবি রামপালের হাতে যায়। কিন্তু আরসিবি জয়ের উৎসব শুরু করার পরই জানা য়ায়, ওভার স্টেপিং-এর জন্য বলটি নো হয়েছে। ফলে ১ বল বাকতি থাকতে নাটকীয় ভাবে জয়ী হয় সিএসকে।