সোনার সুযোগ হারাল কলকাতা! মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গো-হারা হেরে বিদায় নাইটদের
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে ম্যাচ হেরে কলকাতা এই মরশুমে প্লে-অফে যেতে পারল না। জায়গা ছেড়ে দিল হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে।
দারুণ সুযোগ ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিতলেই সরাসরি প্লে অফে চলে যেত দীনেশ কার্তিকের দল। তবে ওয়াংখেড়ের মাঠে ভাগ্য কলকাতাকে সঙ্গ দিল না। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৯ উইকেটে ম্যাচ হেরে কলকাতা এই মরশুমে প্লে-অফে যেতে পারল না। জায়গা ছেড়ে দিল হল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে।
এদিন মুম্বই কলকাতাকে গো-হারা হারিয়ে শুধু ম্যাচই জিতল না, চলে গেল আইপিএলের গ্রুপ শীর্ষে। শনিবারের দুটি ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর হারিয়ে দিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। অন্যদিকে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হেরে প্লে-অফ থেকে ছিটকে গিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।
এই অবস্থায় চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে উঠতে হলে কলকাতাকে যে কোনওভাবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিততে হতো। অথবা এক পয়েন্ট পেতে হতো। তবে তার কোনও কিছুই হয়নি। কলকাতা একে বলা যায় পর্যুদস্ত হয়ে ফের একবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে ম্যাচ হারল।
এদিন কলকাতা প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৩২ রান তোলে ৭ উইকেটের বিনিময়ে। শুরু থেকেই কলকাতা অবশ্য চাপে ছিল না। শুভমান গিল ও অন্য প্রান্তে ক্রিস লিন চমকপ্রদ ব্যাটিং করছিলেন। ৬ ওভারের মধ্যে কলকাতা ৪৯ রানে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে এরপর থেকে ছন্দপতন শুরু। গিল ৯ রানে আউট হওয়ার পর কলকাতার ব্যাটিং থমকে যায়। ২৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন ক্রিস লিন। তিন নম্বরে নামা রবীন উথাপ্পা ফের একবার বিরক্তিকর ব্যাটিং করে অন্য ব্যাটসম্যানদের চাপ বাড়িয়ে দেন।
এদিন
ফের
একবার
উথাপ্পা
অত্যন্ত
শ্লথগতির
ব্যাটিং
করে
৪৭
বলে
৪০
রান
করেন।
চার
নম্বরে
নামা
দীনেশ
কার্তিক
আউট
হন
মাত্র
৩
রান
করে।
তবে
কলকাতাকে
সবচেয়ে
বড়
ঝটকা
দেন
লাসিথ
মালিঙ্গা।
দীনেশ
কার্তিক
আউট
হওয়ার
পরের
বলেই
মালিঙ্গা
বাউন্সারে
ফেরান
আন্দ্রে
রাসেলকে।
রাসেল
প্রথম
বলে
আউট
হতেই
মুম্বাই
ম্যাচে
জাঁকিয়ে
বসে।
শেষ
দিকে
নীতীশ
রানা
১৩
বলে
২৬
রান
করে
কিছুটা
রানের
গতি
বাড়ানোর
চেষ্টা
করেন।
তবে
আর
কেউ
তাঁকে
সঙ্গ
দিতে
পারেননি।
রবীন
উথাপ্পা
টিকে
থাকলেও
বড়
শট
খেলতে
ব্যর্থ
হন।
যার ফলে কলকাতা অত্যন্ত চাপে পড়ে যায়। শেষ অবধি ৭ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে কেকেআর। এত কম রান তাড়া করতে নেমেও মুম্বই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে। ২৩ বলে ৩০ রান করে ফেরেন কুইন্টন ডি কক। আর এক ওপেনার তথা অধিনায়ক রোহিত শর্মা এরপরে ইনিংসের হাল ধরেন। তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
সূর্যকুমার যাদব ২৭ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে রোহিত ৪৮ বলে করেন ৫৫ রান। এদিন কলকাতার সন্দীপ ওয়ারিয়র ৪ ওভারে ২৫ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি। একমাত্র উইকেটটি নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। তিনি তিন ওভারে ২২ রান দিয়ে একটি উইকেট পান।