ইডেনে জিতল ক্রিকেট, কেকেআরকে হারিয়ে ২ পয়েন্ট আরসিবি-র
এই মরশুমে দেশের সবচেয়ে ভালো উইকেট তৈরি করেছে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্স।
এই মরশুমে দেশের সবচেয়ে ভালো উইকেট তৈরি করেছে ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্স। বোলারদের জন্য যেমন বাউন্স রয়েছে, তেমনই ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য বলা যায়। সেরকম পিচে ২০০ রান করেও নিস্তার পাওয়া যায় না। প্রায় সেরকমই হতে চলেছিল এদিন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অনবদ্য ব্যাটিং করলেও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ প্রায় বের করে নিয়েছিল। তবে শেষ অবধি হারতে হল ১০ রানে।
এদিন টসে জিতে কলকাতা ব্যাট করতে পাঠায় ব্যাঙ্গালোরকে। শুরুটা থমকে করেছিল আরসিবি। পার্থিব প্যাটেল ১১ রান করে ফেরেন। তিন নম্বরে নামা অক্ষদীপ নাথ ১৩ করেন। অন্যদিকে ধরে রেখেছিলেন কোহলি। এদিন এবি ডিভিলিয়ার্স খেলেননি। ফলে কোহলি শুরু থেকে সতর্ক হয়ে খেলছিলেন।
দুই উইকেট পড়ার পরে নামেন মইন আলি। তিনি ঘুরিয়ে দেন খেলা। মাত্র ২৮ বলে ৬৬ রান করে যান তিনি। মইনের মার দেখে হাত খোলেন বিরাট-ও। ৪০ বলে ৫০ রান করার পরে শেষ ১৭ বলে বিরাট করেন ৫০ রান। সবমিলিয়ে ৫৭ বলে অনবদ্য শতরান করেন বিরাট। ৫৮ তম বল মারতে গিয়ে ১০০ রানেই ফেরেন। শেষ অবধি মার্কাস স্টইনিসও ৮ বলে ১৭ রান করেন। আরসিবি ৪ উইকেটে ২১৩ রানে থামে।
তবে রোমাঞ্চের এখানেই শেষ ছিল না। কলকাতা রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধুঁকতে থাকে। প্রথম ওভারে ১ রানে আউট হন ক্রিস লিন। সুনীল নারিন ১৬ বলে ১৮ রান করেন। তিন নম্বরে নামা শুভমান গিল ১১ বলে ৯ রান করে ফেরেন।
এরপরে খেলা ধরার চেষ্টা করেন নীতীশ রানা ও রবীন উথাপ্পা। তবে দুজনের কেউই বড় শট নিতে পারছিলেন না। উথাপ্পা ২০ বলে ৯ রান করে আউট হন। যার ফলে কলকাতার আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।
সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেন নীতীশ রানা ও আন্দ্রে রাসেল জুটি। ১২ ওভারে যেখানে ৮১ রান উঠেছিল, সেখান থেকে কলকাতা ম্যাচ হারে মাত্র ১০ রান। শেষ ৮ ওভারে ১২১ রান তোলে রানা-রাসেল জুটি। তবে মাঝের ওভারে থমকে যাওয়াই কলকাতার হাত থেকে ম্যাচ বের করে দিল।
রাসেল ফের অনবদ্য ইনিংস খেললেন। করলেন ২৫ বলে ৬৫ রান। নীতীশ রানা শেষ অবধি ৪৬ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের ধুন্ধুমার ব্যাটিং কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছিল কোহলির। তবে শেষ অবধি আরসিবি ১০ রানে ম্যাচ জেতে। এদিন ইডেনে দুই পক্ষই ধুন্ধুমার ব্যাটিং উপহার দিয়েছে। ফলে আরসিবি দুই পয়েন্ট পেলেও জিতল ক্রিকেট।