চতুর্থ ম্যাচেও পরাস্ত অধিনায়ক কোহলি! এক বল বাকি থাকতে জিতে গেল রাজস্থান
আইপিএল ২০১৯-এর ম্যাচে সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল রাজস্থান রয়্যালস।
আইপিএল ২০১৯-এ চার ম্যাচ পরেও জয় খুঁজে পেলেন না বিরাট কোহলি। প্রথমে ব্যাট করে গৌতম ও গোপালের বিষাক্ত স্পিনের জালে আটকে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি আরসিবি। রাহানে (২০ বলে ২২)-বাটলার (৪৩ বলে ৫৯)-র গড়া ভিতের উপর ১ বল বাকি থাকতে সেই রানটা পার করে দেন স্মিথ (৩১ বলে ৩৮)-ত্রিপাঠী (২৩ বলে ৩৪) জুটি। রাজস্থান রয়্যালস জিতল ৭ উইকেটে।
এদিন আটটার পর থেকেই জয়পুরের মাঠে প্রবল শিশির পড়তে থাকে। তার মধ্যে আরসিবির রানটা তাড়া করা কিন্তু সহজ হয়নি রাজস্থানের। বল ঠিকমতো ব্যাটে আসছিল না। তবে এদিনও রাহানে ও বাটলার রাজস্থানকে একটি মজবুত শুরু দিয়েছেন। দলের ৬০ রানের মাথায় রাহানে ফিরলেও, অর্ধশতরানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেন বাটলার। ৮টি চার ও ১টি ছয় মারলেন তিনি।
তাঁরা ফেরার পর রাজস্থআনকে জয়ের লক্ষ্যে নির্ভরযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়েযান স্মিথ ও ত্রিপাঠী। ১৯তম ওভারে স্মিথ আউট হলেও তখন রান বাকি ছিল মাত্র ৫। কাজেই স্টোকস ও ত্রিপাঠীকে সমস্যায় পড়তে হয়নি।
আরসিবি ইনিংসেই এই উইকেটে স্পিনারদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা গিয়েছিল। রাঝস্থান ইনিংসেও আরসিবির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল চাহাল-ই। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে রাহানে ও বাটলারের উইকেট নেনে তিনি। কিন্তু মাঝের ওভার শুরুর আগে তাঁকে আনাই হয়নি। ততক্ষণে লক্ষ্যের অর্ধেক পথ প্রায় পার হয়ে গিয়েছিল রয়্যালস। বিরাট চাহালকে কেন এত পরে আনেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বস্তুত
এদিন
অধিনায়ক
কোহলির
আরও
বেশ
সিদ্ধান্ত
নিয়েই
প্রশ্ন
উঠেছে।
চার
ম্যাচ
পরেও
আদর্শ
প্রথম
একাদশ
বেছে
নিতে
পারেননি
কোহলি।
এদিনও
পিচ
পড়তে
ব্যর্থ
হন
তিনি।
এদিন
প্রয়াস-কে
খেলালে
তিনি
কার্যকরী
ভূমিকা
নিয়ে
পারতেন।
কিন্তু
কোহলি
তাঁকে
বসিয়ে
জোরে
বোলার
নবদ্বীপ
সাইনি-কে
খেলান।
ধরা
পড়েছে
কিন্তু
ব্যাটসম্য়ান
কোহলির
দুর্বলতাও।
গত
এক
বছর
ধরেই
লেগ
স্পিনারদের
খেলতে
অসুবিধায়
পড়েছেন
কোহলি।
বিশেষ
করে
গুগলি
না
বুঝতে
পেরে
আউট
হয়েছেন
বেশ
কয়েকবার।
এদিনও
আউট
২৫
বলে
২৩
করে
আউট
হলেন
গোপালের
গুগলি
না
বুঝে
বোল্ড
হয়ে।
গুগলি না বুঝতে পারার খেসারত দেন এবি ডিভিলিয়ার্স (৯ বলে ১৩), শিমরন হেটমায়ার (৯ বলে ১)-ও। এদিন শ্রেয়স গোপাল ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। অবশ্যই তিনিই ম্যাচের সেরা। তবে তাঁরও আগে পাওয়ার প্লে-তে রান শুষে নিয়ে আরসিবি ব্যাটসম্যানদের উপরে চাপ তৈরি করেছিলেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। তিনি উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন।