বেয়ারস্টোর দাপটে পিছনের সিটে ওয়ার্নারও! জোড়া শতরানে ম্য়াচ প্রায় হাতছাড়া আরসিবির
বেয়ারস্টো-ওয়ার্নারের বিস্ফোরক ওপেনিং পার্টনারশিপে হায়দরাবাদে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোরের প্রায় নাগালের বাইরে চলে গেল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
ঝড়-সাইক্লোন সব বিশেষণই ক্লিশে হয়ে গিয়েছে। হায়দরাবাদে জনি বেয়ারস্টো (৫৬ বলে ১১৪) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৫৪ বলে ১০০*)-র ব্য়াটিং-কে বর্ণনা করার জন্য কোনও ভাষাই নেই। এদিন দুজনে ১৬.২ ওভারে ১৮৫ রানের জুটি গড়ে আইপিএল-এ সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়লেন। শেষ পর্যন্ত আরসিবির বিরুদ্ধে ২ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তুলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এই নিয়ে মাত্র চতুর্থবার টি২০ ক্রিকেটে জোড়া শতরান হল। ডেভিড ওয়ার্নার পেলেন তৃতীয় আইপিএল শতরান। আর এবারই প্রথম আইপিএল খেলতে এসে অভিষেক শতরান পেলেন বেয়ারস্টো। সবচেয়ে বড় কথা যে ভঙ্গিতে তাঁরা ব্যাট করলেন, তাতে আরসিবির বোলারদের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।
খেলা দেখতে দেখতে মনে হতে পারে বোধহয় সম্পূর্ণ ম্য়াচ নয় হাইলাইটস চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেয়ারস্টো মারলেন ৭টি ছয় ও ১২টি চার। আর ওয়ার্নার ৫টি ছয় ও ৫টি চার। কিন্তু এর সঙ্গে জুড়তে হবে তাদের খুচরো রান নেওয়ার পারদর্শিতাকেও। যে বলে বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি আসেনি সেই বলগুলিতে হায়দরাবাদের ৪২ জডিগ্রি গরমেও উইকেটের মধ্যে দারুণ জোরে দৌড়ে ১ রান গুলিকে ২ রানে পরিণত করছিলেন সানরাইজার্সের দুই ওপেনার।
তাঁদের বিধ্বংসী ব্য়াটিংয়ের পর আরসিবির কোহলি-এবিডিদের কথা মাথায় রেখেও বলে দেওয়াই যায়, প্রথমার্ধেই প্রায় ম্য়াচ পকেটে পুড়ে নিল সানরাইজার্স। আর শুধু এই ম্য়াচ বলে নয়, পর পর তিনটি ম্য়াচেই সানরাইজার্সের ওপেনিং জুটি যা ব্য়াট করল, তাতে এই আইপিএল-এ যে কোনও দলই হায়দরাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাদের আটকানোর পরিকল্পনা নিয়েই অধিকাংশ সময় ব্য়য় করতে বাধ্য। কলকাতায় এসেছিল ১১৮, রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১১০ আর রবিবার এল ১৮৫।
এদিনই আইপিএল-এ অভিষেক হল বাংলার তরুণ স্পিনার প্রয়াস রায় বর্মনের। কিন্তু তাঁর দুর্ভাগ্য এমন একদিনে তাঁর আইপিএল-এর মাঠে পা পড়ল, যেদিন তাঁদের সব বোলারই ওবার প্রতি সাড়ে ৯-এর বেশি করে রান দিয়েছেন। প্রথম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে শুরু করেছিলেন প্রয়াস। পরে বেয়ারস্টো-ওয়ার্নারের গোলার মুখে শে, পর্যন্ত ৪ ওভারে ৫৬ রান দিলেন।