আমিরশাহী আইপিএল ২০২০-তে ১০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দিতে খরচ কত জানেন?
আমিরশাহী আইপিএল ২০২০তে ১০ সেকেন্ডের বিজ্ঞাপন দিতে খরচ কত জানেন?
করোনা অতিমারীর দাপটে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ আর্থিক দিক থেকে জোর ধাক্কা খেয়েছে। খেলাধুলোর জগতেও বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি। ভাইরাসের থাবায় ক্রিকেট থেকে ফুটবল দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। পরে মাঠে বল গড়ালেও দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। যেকারণে করোনাকালে প্রতিটি দেশের খেলার সংস্থাদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। ভারতের বিসিসিআইয়ের ক্ষেত্রেও একই ছবি। ভাইরাস কাঁটার মাঝেই বিদেশে মাটিতে আইপিএল আয়োজন করে সেই ক্ষতির পরিমাণই কমাতে চলেছে বোর্ড। এর মাঝেই আইপিএলে বিজ্ঞাপন দিতে গেলে কত খরচ করতে হবে জানিয়ে দিল সম্প্রচারকারী সংস্থা।
দুই বছর পরে বৈঠক
স্থায়ী সিন্ধু কমিশনের এটি ১১৩ তম বৈঠক। ২০-২১ মার্চ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় ২ বছরের দীর্ঘ বিরতির পরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শেষবার বৈঠক হয় ২০১৫ সালের মে মাসে নয়াদিল্লিতে। এবার ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল পাকিস্তানে উড়ে গিয়েছে। ভারতের সিন্ধু জল কমিশনের প্রধান পিকে সাক্সেনার নেতৃত্বে আলোচনা হবে।
কত খরচ
করোনাকালে সম্প্রচারের জন্য বিন্দুমাত্র খরচ কমাচ্ছে না স্টার স্পোর্টস। এমনিতে লিগ পিছিয়ে মার্চের পরিবর্তে সেপ্টেম্বরে করা হচ্ছে। দেশের বদলে আমিরশাহীতে করতে হচ্ছে আইপিএল। বিজ্ঞাপনদাতাদের এই পরিস্থিতিতে সম্প্রচারকারী সংস্থাকে, বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের জন্য কত টাকা দিতে হবে জানিয়ে দেওয়া হল। ২০২০ সালের আইপিএলে ১০ সেকেন্ড বিজ্ঞাপন দিতে আট থেকে ১০ লক্ষ টাকা গুনতে হবে।
সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ
ভারতীয় যে প্রতিনিধি দল ওয়াঘা পার করে পাকিস্তানে গিয়েছে তাদের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সড়কপথে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভারতীয় প্রতিনিধিদের দলটিকে ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় দল ইতিবাচকভাবেই এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবে বলে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞাপন থেকে সরছে চিনা সংস্থা
গালওয়ান উপত্যকা চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর আইপিএল থেকে চিনা স্পনসর ভিভো নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এরপর এ বছর আইপিএল টুর্নামেন্টে চিনা সংস্থাগুলিও বিজ্ঞাপন দেবে না বলে জানা গিয়েছে। ভারতে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজার দারুণ। মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি বিজ্ঞাপনে প্রচুর অর্থ খরচ করে। ফলে এবছর সম্প্রচারকারী সংস্থা চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে অর্থ পাবে না ধরে রেখেই তারা পরিকল্পনা সাজাল বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের কড়া বিবৃতি
পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হলেও সিন্ধু জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে নিজেদের যে বকেয়া ৫৭ বছর ধরে ভারত পায়নি, তা নিয়ে কোনওরকম আপোস করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। উরি জঙ্গি হামলার পরে জল বণ্টন নিয়ে সমস্তরকম আলোচনা ভারত বন্ধ করে দিয়েছিল। পাকিস্তানের অনুরোধে তা চালিয়ে নিয়ে যেতে ফের রাজি হয়েছে ভারত।
আকাশ ছোঁয়া ভিউয়ারশিপ
প্রসঙ্গত হাজার প্রতিকূলতা কাটিয়ে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এবছরের আইপিএলে আসর বসতে চলেছে প্রথমদিকে দর্শকশূন্য মাঠেই ম্যাচ হবে। পরবর্তীতে দর্শকদের গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হতেও পারে। কিন্তু ভারতবাসীকে এবছর টিভির পর্দায় চোখ আইপিএল উপভোগ করতে হবে। করোনার কারণে ২৯ মার্চ থেকে টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গিয়েছিল। ভাইরাস ধাক্কায় ক্রিকেট বন্ধে আইপিএল দেখার প্রত্যাশা কয়েকগুণ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের আইপিএলের ভিউয়ারশিপ আকাশছোঁয়া হতে পারে।
পাকিস্তানের বাধা
বারামুল্লায় তৈরি ২৪০ মেগাওয়াট উরি-২ ও কার্গিল জেলায় তৈরি ৪৪ মেগাওয়াট চুতক প্রকল্প যা ভারত তৈরি করেছে তা নিয়ে বিরোধিতা করেছে পাকিস্তান। তাদের মতে, চুক্তির বাইরে গিয়ে এই ধরনের প্রকল্প তৈরি করে পাকিস্তানকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সিন্ধুর অববাহিকায় তৈরি পাকাল দুল (১ হাজার মেগাওয়াট), রাটলে (৮৫০ মেগাওয়াট), কৃষ্ণগঙ্গা (৩৩০ মেগাওয়াট), মিয়ার (১২০ মেগাওয়াট), নিম্ন কালনাই (৪৮ মেগাওয়াট) জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও পাকিস্তান বিরোধিতা করেছে।
সম্প্রচারকারীর ডাকে প্রথা ভেঙে সপ্তাহের মাঝে ফাইনাল
এবার ৫৩দিন ধরে চলবে আইপিএল। যার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে দিপাবলীর সপ্তাহে। সূত্রের খবর সম্প্রচারকারী সংস্থার ডাকেই প্রথা ভেঙে এবছর সপ্তাহের মাঝে আইপিএল ফাইনাল হচ্ছে। ভিউয়ারশিপের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রচারকারী সংস্থা দিপাবলীর সপ্তাহ পর্যন্ত আইপিএল টেনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। সেই কারণেই ৮ নভেম্বরের পরিবর্ত মঙ্গলবার ১০ নভেম্বর টুর্নামেন্ট ফাইনাল রাখা হয়েছে বলে খবর।
প্রকল্পের খরচ
ভারতের তৈরি পাকাল দুল ও নিম্ন কালনাই প্রকল্প দুটি জম্মু ও কাশ্মীরে তৈরি হয়েছে। ২০০৮ সালের হিসাবে প্রকল্পের খরচ ৭৪৬৪ কোটি টাকা। মিয়ার জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি জেলায় অবস্থিত। এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১১২৫ কোটি টাকা।
দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি কমিশন
চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা দেখতে সিন্ধু জল কমিশন তৈরি হয়। প্রতিবছর ভারত অথবা পাকিস্তানে বার্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা। তবে ২০১৫ সালের মে মাসে শেষবার বৈঠক হয়েছে। তারপর আর বৈঠক হয়নি। উরি হামলার পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জনসভায় জানিয়েছিলেন, রক্ত ও জল কখনও একসঙ্গে বইতে পারে