সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ, নিলামের আগে কলকাতার পরিস্থিতিতে নজর আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলির
সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ, নিলামের আগে কলকাতার পরিস্থিতিতে নজর আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলির
মাঝে আর দুই দিন। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় বসতে চলেছে ২০২০ আইপিএল-র নিলামের আসর। তার আগে সিএএ নিয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভের জেরে শহরের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি। অবস্থা জটিল হলে কলকাতায় আদৌ আইপিএলের নিলাম আয়োজন করা সম্ভব কিনা, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসাম ও ত্রিপুরা। তার জেরে গুয়াহাটি ও আগরতলায় রঞ্জি ট্রফির চতুর্থ দিনের ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সেই বিক্ষোভের রেশ এসে পৌঁছয় পশ্চিমবঙ্গে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শুরু হয় অশান্তি। পরিস্থিতি এমন যে রাজ্যের সেসব জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
সিএএ এবং তাকে ঘিরে শুরু হওয়া হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতিবাদে সোমবার রাস্তায় নামেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও ভাবেই যাতে সেই বিক্ষোভের আগুন কলকাতায় না পৌঁছয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে রাজ্য প্রশাসন। তা সত্ত্বেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা তো ঘটে যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ আইপিএলের নিলাম উপলক্ষ্যে কলকাতায় হাজির হওয়া রথি-মহারথিদের প্রশাসন নিরাপত্তা দিতে পারবে তো, সেই প্রশ্নই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজিদের।
আইপিএল খেলা দলের এক কর্তার কথায়, হয়তো চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবু কলকাতার পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন বলেই জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আগামী বৃহস্পতিবারের নিলাম উপলক্ষ্যে বুধবার অর্থাৎ ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন সবকটি দলের মালিক। ১৯ ডিসেম্বর নিলামের পর তাঁরা শহর ছাড়বেন। তাঁদের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে আইপিএল কমিটি।
অন্য এক ফ্রাঞ্চাইজি কর্তার কথায়, বিসিসিআই যে ব্যবস্থা করেছে, তাতে তাঁদের আস্থা ও ভরসা আছে। পরিস্থিতির ওপর তাঁরা নজর রাখছেন ঠিকই, তবে তাঁদের বিশ্বাস যে বিসিসিআই সব রকম পরিস্থিতির জন্য নিজেদের পরিকল্পনা আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছে।