সচিনের অবসরের চার, ফিরে দেখা ক্রিকেট ভগবানের ক্রিকেটীয় কিছু মুহূর্ত
দিনটা ১৬ নভেম্বর ২০১৩, যেদিন ভারতের জার্সি গায়ে শেষবারের মত মাঠে নেমেছিলেন কিন্তু আজও ফ্যানদের মনে অমলিন তাঁর উপস্থিতি।
২০১৩-র ১৬ নভেম্বর ভারতের জার্সি পড়ে শেষবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ভারতীয় ক্রিটেফ্যানদের মনে আজও সেই দিনটা অমলিন। একটা যুগে যতি চিহ্ন পড়েছিল। ক্রিকেট ভগবানকে আর কোনও দিন ব্যাট হাতে মাঠে নামতে দেখা যাবে না, এই দুঃখ ভুলে মানুষ সবসময় এখনও সচিনের সব পুরোন ঘটনা মনে রেখেই তাঁকে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেন। তা সে তাঁর শতরানের ইনিংসগুলি হোক বা ভারতের জার্সি গায়ে বিশ্বকাপ জয়।
[আরও পড়ুন:১০ মিনিটের লাইফ-লাইন না পেলে আজ ক্রিকেটার হতেন না, খোলসা করলেন খোদ সচিন]
শুরুর সচিন
জুনিয়র স্তর থেকে সংবাদমাধ্যমের ফোকাসে ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। বিনোদ কাম্বলির সঙ্গে স্কুল ক্রিকেটে রেকর্ড থেকে শুরু করে সবকিছুই জায়গা করে নিয়েছে সংবাদ শিরোনাম। ১৯৮৯ সালের ১৫ নভেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে বয়স তখন ১৬-র কোঠায়।
চলার পথ
১৯৮৯ থেকে ২০১৩ দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে পেরিয়েছেন একের পর এক পথ। জাতীয় দলের হয়ে একের পর এক মাইলস্টোন অ্যাচিভ করেছেন। কখনও আবার ভারতীয় ক্রিকেটের কালো দিনও দেখেছেন। বেটিং -য়ের কালো অধ্যায়ের সাক্ষী থেকেছেন। এরপরও তাঁদের ক্রিকেট ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের ইমেজ। তারও অন্যতম কান্ডারী সচিন।
কেরিয়ারের সব পরিসংখ্যান
মোট ২০০ টি টেস্ট খেলেছেন সচিন, তাঁর থেকে তাঁর ঝোলায় রান ১৫৯২১। সর্বোচ্চ ২৪৮। আবার একদিনের ক্রিকেটে নজর রাখলেও তাঁর পরিসংখ্যান একইভাবে ঈর্ষণীয়। ৪৬৩টি একদিনের ম্যাচে ১৮৪২৬ রান রয়েছে ঝোলায়। সর্বোচ্চ ২০০।
শতরানের সেঞ্চুরি
বিশ্বের এ পর্যন্ত কোনও ব্যাটসম্যান যা করতে পারেননি তাই করে দেখিয়েছেন সচিন। টেস্ট ও একদিনের ক্রিকেট মিলিয়ে রয়েছে১০০ টি শতরান। টেস্টে করেছেন ৫১ টি শতরান। একদিনের ক্রিকেটে করেছেন ৪৯ টি শতরান। সচিনের অন্য রেকর্ড যদি বা কেউ ভাঙতে পারেন এই রেকর্ড কবে ভাঙা হবে তা নিয়ে বড় প্রশ্ন ।
বিশ্বকাপ জয়
অনেকরকম মাইলস্টোন কেরিয়ারে পেরোলেও মাস্টারব্লাস্টারের নিজের কাছে সবচেয়ে বড় সাফল্য বিশ্বকাপ জয়। ২০১১ ঘরের মাঠে যেভাবে টিম ইন্ডিয়া বিশ্বসেরা হয়েছিল, সেই মুহূর্তটাকে দারুণভাবে উপভোগ করেন সচিন।
অবসরের ইনিংস
ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সেখানেও করেছিলেন ৭৪ রান। ফ্যানরা হয়ত চেয়েছিল নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে ১০০ করবেন। কিন্তু সেই কাব্যিক পরিসমাপ্তি হয়নি । কিন্তু পুরো ক্রিকেট জীবনটাই যাঁর কাব্য তাঁর কাছে আর একটা ইনিংসের প্রাপ্তি - অপ্রাপ্তি কোনও পার্থক্য করে না।
শেষ বার্তা
সেদিন ওয়াংখেড়ে থেকে সচিন যেভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তাতে অতিবড় নীরস মানুষের চোখে একবার হলেও জল এসেছিল। পুরো ক্রিকেট কেরিয়ারের পথ চলাকে যেভাবে তুলে ধরলেন সচিন তাতে আজও আবেগমথিত হন মানুষ।
[আরও পড়ুন:ইডেনে হাজির সচিন ফ্যানের স্বীকারোক্তি , শুনলে আপনার চোখেও আসবে জল ]