জানেন কি? একটি দোকানে চুরি হতেই অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে খালের ছাড়পত্র পায় জাপান!
মঙ্গলবার প্রথবারের মতো কোনও স্তরের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলতে নামে জাপান। যদিও ব্লুমফন্টেইনে ভারতের কাছে মাত্র ৪১ রানে অলআউট হয়ে ভারতের কাছে দলটা হেরেছে ১০ উইকেটে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাচ শেষ ২০ ওভারের মধ্যেই। ভারত ১২টি ওয়াইডসহ ১৯টি অতিরিক্ত রান না দিলে, আর অষ্টম উইকেটে ১৩ রানের একটা জুটি না হলে হয়তো টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ডটা স্কটল্যান্ডের (২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২ রান) কাছ থেকে কেড়েই নিত জাপান।
বয়সভিত্তিক হোক বা আন্তর্জাতিক পর্যায়, ক্রিকেটে ডাকাবুকো ভারতের কাছে এবারই প্রথম বিশ্বকাপে আসা জাপানের এমন হার একেবারে অস্বাভাবিক নয়। তবে এই ভাবে তাদের মাঠেই নামা হত না যদি না রাজধানী টোকিওর কাছের শহর সানোর একটি দোকানে চুরির ঘটনা না ঘটলে।
ঘটনাটি ঘটে গতবছর জুনে। আঞ্চলিক বাছাইপর্বের ফাইনালে জাপানের প্রতিপক্ষ ছিল পাপুয়া নিউ গিনি (পিএনজি)। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে উঠতি শক্তি পিএনজি ১৯৯৮-এর পর থেকে আটবার খেলেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে ফেবারিট ছিল তারা। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন পিএনজির দলের ১৪ জনের মধ্যে থেকে ১১ জন চুরি করতে ঢোকে সানোর একটি দোকানে। এবং তারা ধরা পড়ায় তাদের সবাইকে বহিস্কার করে পিএনজির ক্রিকেট বোর্ড। ম্যাচটা আর খেলা হয়নি পিএনজির। সেই সূত্রে ফাইনাল না খেলেই জাপান পৌঁছায় বিশ্বকাপে!
ক্রিকেট পিএনজি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রেগ ক্যাম্পবেল বলছিলেন লজ্জার সেই সময়ের কথা, 'জাপানে এমন শাস্তির সাজা ৫ থেকে ১০ বা ১৫ বছরের জেল। তাই আমাদের ভাবনায় ছিল ছেলেগুলোকে উদ্ধার করা। ওরা বয়সে কাঁচা, বুঝে উঠতে পারেনি, হয়তো একজন অন্যজনের পাল্লায় পড়ে এমনটা করেছে। খেলোয়াড়দের চুরি করা সবকিছুর জন্য দোকানে দাম দিয়েছি, দাতব্য কাজেও কিছু দান করেছি আমরা। দোকানিও আর কোনো অভিযোগ আনেনি। কিন্তু এসবের পর এই খেলোয়াড়দের মাঠে নামানোর কথা আমি বা দলের ম্যানেজার একবারের জন্যও ভাবিনি। আইসিসিও সেটা দিত না সম্ভবত। ওরা অন্যায় করেছে, ভাই! এরপর ওদের মাঠে নামতে দেওয়া যায় না।'