বুমরাহ বাইশ গজ কাঁপাচ্ছেন, সবরমতী-র জলে জীবন বিসর্জন দাদু' র , জানুন করুণ কাহিনি
জসপ্রীত বুমরাহ এখন ভারতীয় প্রথম একাদশের নিয়মিত সদস্য কিন্তু তাঁর দাদুর করুণ পরিণতি চোখে জল এনে দেবে।
এই সমাজে বয়স্ক মানুষদের জন্য বাঁচার পরিবেশ রাখছি কী আমরা। চারপাশের নানা ঘটনা মনে করিয়ে দেয় আমরা বোধহয় আস্তে আস্ত মানবিকতার বিপরীত দিকে হাঁটছি। সম্প্রতি বুমরাহের ঠাকুরদা-র মৃত্যুর ঘটনা একবারে নাড়িয়ে দিল অন্তরকে।
এর কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল নাতি যখন দেশ বিদেশের মাটিতে ছুটে চলেছেন, তখন উত্তরাখন্ডে-র উধম সিং নগরে অটো চালাচ্ছেন তাঁর দাদু সান্তোক সিং বুমরাহ। কিন্তু তাঁদের এরকম অবস্থা ছিল না। জসপ্রীত বুমরাহের বাবা-র হঠাৎ মৃত্যুতে গোটা পরিবারের ভিত নড়ে যায়। আহমেদাবাদ তিনটি ফ্যাক্টরি ছিল বুমরাহ পরিবারের। কিন্তু ছেলের অপমৃত্যুতে ভেঙে পড়েন বুমরাহের দাদু।
এই সময়ে তাঁদের ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দেয়। লোন শোধ করতে তাদের সেই ফ্যাক্টরি গুলিও বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই ২০০৬ সালে উত্তরপ্রদেশের উধম সিং নগরে পরিবার নিয়ে চলে আসেন সান্তোক সিং বুমরাহ। এখানে এসে তিনি চারটি গাড়ি কেনেন। ভেবেছিলেন আবার ব্যবসা শুরু করবেন। কিন্তু এবারও কপাল সঙ্গে ছিল না। ফের ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি। চারটি গাড়ির তিনটিই বেচে দিতে হয় তাঁকে। নিজের অটো নিজেই চালাতেন এই অশীতিপর বৃদ্ধ।
৫ ডিসেম্বর নাতির জন্মদিন উপলক্ষ্যে একবার বুমরাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন সান্তোক সিং। কিন্তু কোনও অজানা পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে দেখা করতে দিতে সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেন বুমরাহের মা। এরপরই মনের দুঃখে বাড়ি ছাড়েন ৮৪ বছরের এই বৃদ্ধ। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মিসিং ডায়ারিও লজ করা হয়। তারপরই পুলিশ সবরমতীর জলে তাঁর মৃতদেহ খুঁজে পায়। এই কান্ডে বুমরাহের মায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুতে উস্কানি দেওয়ার কারণ দেখিয়ে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনওরকম মুখ খুলতে নারাজ বুমরাহের মা। এত বড় আঘাত মেনে নিতে পারেননি বৃদ্ধ। তবে তিনি নিজেই আত্মহত্যা করেছেন নাকি অন্য কোনও ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এভাবে দাদুর মৃত্যু ঘটায় ট্রোলড হচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহ।