'ইডেন গার্ডেন্স কা রিপিট হো জায়ে', কেন এমন বললেন ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট দলের ম্যানেজার
'ইডেন গার্ডেন্স কা রিপিট হো জায়ে', কেন এমন বললেন ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট দলের ম্যানেজার
২০০১-র ইডেন গার্ডেন্সের প্রতিচ্ছ্ববি পাওয়া গেল ত্রিপুরার আগরতলায়। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে প্রথমবার ফলো-অন খেয়েও ম্যাচ জিতে নজির গড়ল ঝাড়খণ্ড। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা সৌরভ তিওয়ারি।
২০০১ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল স্টিভ ওয়ার দুর্দান্ত অস্ট্রেলিয়ার অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে দেয় কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। ফলো-অন খেয়েও ১৭১ রানে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। ত্রিপুরা বনাম ঝাড়খণ্ডের ম্য়াচেও একই রকম প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ইডেনে ভারতকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, রাহুল দ্রাবিড় ও হরভজন সিং। আর ঝাড়খণ্ডের জয়ের নায়ক হন ব্যাটসম্যান সৌরভ তিওয়ারি ও ইশাঙ্ক জাগ্গি।
আগরতলায় হওয়া এই ম্য়াচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ঝাড়খণ্ড। প্রথম ইনিংসে ২৮৯ রান তোলে ত্রিপুরা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৩৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের প্রথম ইনিংস। দেড়শো-র বেশি রানে পিছিয়ে থাকায় মহেন্দ্র সিং ধোনির রাজ্যকে ফলো-অনে ডাকে ত্রিপুরা। কিন্তু সেটাই কাল হয় হোম টিমের। অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারির ১২২ ও বোলার ইশাঙ্ক জাগ্গির ১০৭ রানের সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান তোলে ঝাড়খণ্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারায় ঝাড়খণ্ডের কাছে ম্যাচ হারে ত্রিপুরা।
সাজঘর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের হয়ে ব্যাট করতে নামার আগে ইশাঙ্ক জাগ্গিকে দলের ম্য়ানেজার পিএন সিং নাকি বলেন, 'ইডেন গার্ডেন্স কা রিপিট হো জায়ে'। কিন্তু জাগ্গি নাকি তখন উত্তর দিয়েছিলেন, 'কাভি কাভি হো সাকতা হ্যায়, বার বার নেহি'। তবে সেই জাগ্গির দৌলতেই এ যাত্রায় রেকর্ড গড়তে সক্ষম হল ঝাড়খণ্ড।