আর্চারের আগুন ঝরানো বোলিং, ২০০৫-র অ্যাসেজ মনে পড়ছে পন্টিং-র
জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জোফ্রা আর্চারের আগুন ঝরানো বোলিং সামলাতে হিমশিম খেতে হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের।
জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জোফ্রা আর্চারের আগুন ঝরানো বোলিং সামলাতে হিমশিম খেতে হয় অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের। বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারের নায়কের বডিলাইন বল আঘাত করেছে অজি শিবিরের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথকেও। আর্চারের বিষাক্ত বাউন্সে ডান হাতে চোট পান তিনি। লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলারের এই মরিয়া পারফরম্যান্স দেখে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। ফিরে গেছেন ২০০৫-র অ্যাসেজ সিরিজে।
২০০৫-র অ্যাসেজ
সেবার রিকি পন্টিং নেতৃত্বাধীন বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডে অ্যাসেজ খেলতে এসেছিল। ২-১ ব্যবধানে ওই সিরিজ হেরেছিল অজি শিবির। চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ওই অ্যাসেজ লড়াইকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতমের আখ্যা দেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফ ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন।
কেন সেই কথা
২০০৫-র অ্যাসেজকে বিশ্বের অন্যতম বডিলাইন টেস্ট সিরিজ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়। ওই সিরিজে দুই দলেরই বহু ক্রিকেটার ব্যাট করার সময় চোট-আঘাতে জর্জ্বরিত হন। সেই সময় ইংল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলার স্টিভ হার্মিসনের বলে বড়সড় আঘাত পান অজি ওপেনার ম্যাথু হেডেন ও জাস্টিন লাঙ্গার। তাঁরা আউট হওয়ার পর যখন অজি অধিনায়ক ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন তাঁকেও বিষাক্ত বাউন্সের মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছিলেন হার্মিসন। বল রিকির হেলমেটের সামনের অংশে লাগে। জোর আঘাতে তাঁর চোখের নিচের অংশ ফেটে রক্ত বেরোতে শুরু করে।
আর্চারের স্পেলে
২০১৯ অ্যাসেজের লর্ডস টেস্টে জোফ্রা আর্চারের প্রথম ইনিংসের স্পেলে সেই বিভীষিকা নজরে পড়েছে রিকি পন্টিংয়ের। তাই সেই স্পেলের সঙ্গে ২০০৫ অ্যাসেজে স্টিভ হার্মিসনের বোলিং-র তুলনা টেনেছেন বিশ্বকাপ জয়ী অজি অধিনায়ক।