এমএস ধোনিকে নিয়ে কী বললেন ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক
এমএস ধোনিকে নিয়ে কী বললেন ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক
২০০৭-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্য়াচের শেষ ওভার করার জন্য তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসেছিলেন আপামর ভারতবাসী। 'পারবেন তো' প্রশ্ন উঠেছিল নানা মানুষের মনে। সব দ্বিধা-দ্বন্ধের থেকে বেরিয়ে তিনি সত্যিই পেরেছিলেন। বিপজ্জনক মিসবা-উল-হককে আউট করে দেশের হাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তুলে দিয়েছিলেন যোগীন্দর শর্মা। সেই তিনিই আরও একবার সেই দিনের স্মৃতিচারণার পাশাপাশি দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে কী বললেন, তা দেখে নেওয়া যাক।
ভিসা বিভাগে কাজ করত মেহমুদ
মেহমুদ আখতার পাকিস্তানি দূতাবাসের ভিসা বিভাগে কাজ করত। রাজস্থানের দুই ব্যক্তির কাছ থেকে সে গোপন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছিল। সেই দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কবে ক্রিকেটে ফিরবেন ধোনি
২০১৯-র ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ভারত। তারপর ক্রিকেট থেকে কার্যত অঘোষিত সন্ন্য়াস নিয়ে নেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফের কবে তাঁকে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে দেখা যাবে কিংবা তিনি আদৌ আর ক্রিকেট খেলবেন কিনা, তা নিয়ে আলোচনা দেশের ক্রিকেট মহলে।
পাক আইএসআইয়ের সদস্য
পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করেছে মেহমুদ। গাঁটছড়া বাঁধে ২০১৩ সালে। একইসঙ্গে সে পাকিস্তানি সেনার বালোচ রেজিমেন্টেরও সদস্য। সেনাবাহিনী সে হাবিলদার পোস্টে কর্মরত।
বিসিসিআই-র বক্তব্য
মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিকেট থেকে কবে অবসর নেবেন, তা তিনি ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সুরে কথা বলেছেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।
কূটনৈতিক রক্ষাকবচের অধিকারী
দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের হয়ে কাজ করত মেহমুদ আখতার। দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকার কারণে তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে দেশে ফেরত যাওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধোনিকে নিয়ে যোগীন্দর
ক্রিকেট ছেড়ে দিল্লি পুলিশে বড় দায়িত্বে কর্মরত যোগীন্দর শর্মা বলেছেন, মহেন্দ্র সিং ধোনি শারীরিক ও মানসিক ভাবে ভীষণই শক্তিশালী। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ধোনির আর ক্রিকেট না খেলার পিছনে নিশ্চিয় অনেকগুলি কারণ আছে বলেও মনে করেন যোগীন্দর। ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়কের কথায়, এমএস-র ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবার আছে। ধোনি হয়তো নিজেকে অন্যভাবে তৈরি করছেন বলে অনুমান যোগীন্দরের।
আধার কার্ডে অন্য নাম মেহমুদের
মেহমুদ আখতারের আধার কার্ড অনুযায়ী নামহল মেহবুব রাজপুত। আখতার জানিয়েছে সে দিল্লির চাঁদনি চক এলাকার বাসিন্দা ছিল।
কেউ ভাবেনি
২০০৭ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে শোচনীয় হারের পর সেই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল ভারত। ওই সিরিজে দলের সব সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ভারতীয় দল যে ২০০৭-র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতবে, তা কেউ আন্দাজ করতে পারেনি বলেই দাবি করেছেন যোগীন্দর শর্মা। কিন্তু এমন এক ব্যক্তি (এমএস ধোনি) সেই সময় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, যাঁর কোনও তুলনা হয় না বলে জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার।
আবদুল বসিতকে সমন
দিল্লি পুলিশ সমস্ত তথ্য জোগাড় করে মেহমুদ আখতারকে গ্রেফতার করার পরই সমন পাঠানো হয় ভারতে অবস্থিত পাক হাইকমিশনার আবদুল বসিতকে। বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্করের অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।
২০১৭ পর্যন্ত ক্রিকেট
যোগীন্দর শর্মা জানিয়েছেন যে তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত হরিয়ানার হয়ে ক্রিকেট খেলেন। এরপর তিনি পাকাপাকিভাবে পুলিশের চাকরিতে ঢুকে পড়েন। এখন ক্রিকেট থেকে তিনি দূরে থাকলেও, এই খেলা তাঁর ধমনীতে প্রবাহমান বলে জানিয়েছেন যোগীন্দর।
পাকিস্তানের মিথ্যাচার
আবদুল বসিতকে ঘটনা জানানোর পরে তিনি দাবি করেন মেহমুদ আখতারকে ফাঁসানো হয়েছে। পাকিস্তানি সরকারও ইসলামাবাদ থেকে একই অভিযোগ তুলে ভারতকে হুঁশিয়ারি দেয়। তাদের হাই কমিশনের কর্মীকে অযথা হয়রানি করা হয়েছে এবং মারধর করা হয়েছে।
দুই চরের নাম প্রকাশ
পাকিস্তানকে গোপন নথি পাচারের অভিযোগে যে দুই ব্যক্তিকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম হল যথাক্রমে মৌলানা রমজান ও সুভাষ জাঙ্গীর। তাদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে গোয়েন্দারা
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, এই ঘটনার পিছনে শুধু মেহমুদ ও বাকী দুই চর ছাড়াও একটি বড় চক্র রয়েছে। সেই চর চক্রেরই নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।