রঞ্জির ফাইনালে পৌঁছতে বাংলার প্রয়োজন ৭ উইকেট, কর্নাটকের ২৫৪ রান
রঞ্জির ফাইনালে পৌঁছতে বাংলার প্রয়োজন ৭ উইকেট, কর্নাটকের ২৫৪ রান
রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা ও কর্নাটকের মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ফাইনালে পৌঁছতে চতুর্থ দিনে কর্নাটকের সাত জন ব্যাটসম্যানকে আউট করা চ্যালেঞ্জ বাংলার সামনে। অন্যদিকে ২৫৪ রান করলেই টুর্নামেন্টের শেষ ধাপে পৌঁছে যাবে কর্নাটক।
প্রথম ইনিংসে বাংলা
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল বাংলা। প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে হোম টিমের হয়ে সর্বাধিক ১৪৯ রান করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। কর্নাটকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন অভিমন্যু মিঠুন ও রনিত মোরে।
ফিরে আসা
দুর্দান্ত বোলিং করেন বাংলার বোলাররা। ৫ উইকেট নেন পেসার ইশান পোড়েল। ৩ উইকেট নেন আকাশ দ্বীপ। ২ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। প্রথম ইনিংসে ১২২ রানে অল আউট হয়ে যায় কর্নাটক। অ্যাওয়ে দলের হয়ে সর্বাধিক ৩১ রান করেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ১৯০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলা।
বাংলার ব্যাটিং বিপর্যয়
দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে ওঠেন কর্নাটকের বোলাররা। ফলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় বাংলা। ১ রানে আউট হন ওপেনার অভিষেক রমন। ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলার অধিনায়র অভিমন্যু ইশ্বরণ। ০ রানে আউট হন অর্নব নন্দী। ১৩ রান করেন মনোজ তিওয়ারি। বাংলার হয়ে কিছুটা লড়াই করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪৫) ও অনুষ্টুপ মজুমদার (৪১)। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬১ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। কর্নাটককে ৩৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় হোম টিম। কর্নাটকের হয়ে ৪ উইকেট নেন অভিমন্যু মিঠুন। ৩ উইকেট নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম।
কর্নাটকের জবাব
চতু্র্থ ইনিংসে ৩৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই কেএল রাহুলের উইকেট হারায় কর্নাটক। উইকেট নেন ইশান পোড়েল। এরপর দেবদূত পাডিক্কল ও রবিকুমার সামর্থ্য-র মধ্যে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ হয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রবিকুমার ও কর্নাটকের অধিনায়ক করুণ নায়ারের উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাকে ফের লড়াইয়ে ফেরান যথাক্রমে আকাশ দ্বীপ ও মুকেশ কুমার। দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানে খেলছে কর্নাটক। ৫০ রানে অপরাজিত রয়েছেন দেবদূত পাডিক্কল।