বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ধোনিকে পরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন দীনেশ
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ধোনিকে পরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন দীনেশ
করোনা লকডাউনে ক্রিকেট থেকে ছুটি, প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিশ্বজুড়ে সংক্রমণে এখন ক্রিকেটের বাইশ গজে তালা ঝুলছে। এই অবস্থায় গৃহবন্দিতে সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন দীনেশ কার্তিক। এই ছুটিতে এবার স্মৃতির পাতায় ফিরে গিয়ে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও সেমিফাইনাল নিয়ে ফ্যানেদের সঙ্গে আড্ডা দিলেন কার্তিক।
ধোনির আগে তাঁর ডাক পড়ার অবাক হয়েছিলেন
এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের আড্ডায় দীনেশ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটিতে ধোনির আগে তাঁকে ব্যাটিং করতে পাঠানোয় দীনেশ অবাক হয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন।
কিউয়িদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং ধস
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে রোহিত-বিরাট ও রাহুল, টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানই ব্যক্তিগত ১ রান করে আউট হয়ে ফেরেন। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৫ রান উঠতে কিউয়িরা ভারতের ৩ উইকেট ফেলে দেয়। পরে দীনশকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোট করে ৫ নম্বরে ব্যাটিং করতে পাঠানো হয়েছিল।
দীনশ যা বললেন
দীনেশ এই নিয়ে বলেছেন, 'আমাকে পাঁচ নম্বরে নামতে বলা হলে আমি বেশ চমকে গিয়েছিলাম, টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে আমায় সাতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছিল।কিন্তু আমরা কেউই এমন ব্যাটিং ধসের কোনও আশঙ্কা করিনি। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা দারুণ খেলছিলাম। তাই সেমিতে এসে আমাদের ব্যাটিং এভাবে ভেঙে পড়বে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। '
শর্টস পরে বসেছিলেন, বললেন কার্তিক
কার্তিক আরও জুড়েছেন, 'আমি শর্টস পরে বসে ছিলাম। হঠাতই ম্যানেজমেন্ট আমায় তড়িঘড়ি ব্যাটিংয়ে নামার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলে। রাহুল দ্রুত আউট হবে আন্দাজ করিনি। রাহুল ড্রেসিংরুমে ফিরে আসের আগেই আমায় প্যাড পরে মাঠে নামতে হয়েছিল।'
সেমিফাইনালে ধোনি কত নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন
উল্লেখ্য ম্যাচে ধোনিকে সাত নম্বরে পাঠানো নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।ম্যানেজমেন্টে কার সিদ্ধান্তে টপ ও মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া সত্ত্বেও ধোনিকে সাতে পাঠানো হয়, তা নিয়ে বিতর্কও হয়। যদিও কোচ রবি শাস্ত্রী ধোনিকে পরে পাঠিয়ে ফিনিশার হিসেবে ব্যবহার করার যুক্তি দিয়েছিলেন। ক্রিকেটবোদ্ধারা অনেকেই সেই যুক্তিকে অবশ্য খণ্ডন করেন। এবার দলের অন্দরে দীনেশও যে ধোনিকে তাঁর পরে পরে পাঠানো নিয়ে অবাক হয়েছিলেন, সেটাই জানালেন।
ধোনির রান
জাদেজার সঙ্গে জুটিতে ১১৬ রানে পার্টনারশিপ গড়েন ধোনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মার্টিন গাপ্টিলের একটা থ্রোয়ে ৫০ রানে রান আউট হন। ভারতকে ১৮ রান হারিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলে নিউজিল্যান্ড।
সচিন তেন্ডুলকরের সেই মরু-ঝড় মনে পড়ছে! ফিরে দেখা ২২ এপ্রিল