ফর্ম্যাট ও বিদেশি হারালে আইপিএলের জৌলুস কমবে, কেন মত কেকেআরের
ফর্ম্যাট ও বিদেশি হারালে আইপিএলের জৌলুস কমবে, কেন মত কেকেআরের
করোনা উদ্বেগ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত চলতি বছরে আইপিএল কী হবে? ক্রিকেট ফ্যানেদের মনে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য আজ ১১ জুন আশার আলো শুনিয়েছে। আইপিএল আয়োজনের জন্য বিসিসিআই সবরকম চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে আইপিএল হলে ১৩ তম মরসুম কি বিদেশিদের ছাড়া হতে চলেছে?
কেন বিদেশিদের ছাড়া আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা
করোনার সঙ্গে ইতিমধ্য ছয় মাস কেটে গিয়েছে। ডিসেম্বরে চিনের ইউহান প্রদেশে করোনা থাবা বসিয়েছিল। সেই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অক্টোবরে আইপিএল হলে বিদেশি ক্রিকেটারদের তাঁদের দেশের ক্রিকেট বোর্ড ঝুঁকির সফরে অনুমতি নাও দিতে পারে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাতেও করোনা পরবর্তী সময়ে অনেক কড়াকড়ি থাকতে পারে। তার উপর বিদেশ থেকে আগত ক্রিকেটারদের কোয়ারেন্টাইন রাখাও জরুরী।
বিদেশি ছাড়া আইপিএল হলে কেকেআরের পরিকল্পনা কী?
এই নিয়ে আজ কেকেআর কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে নাইট সিইও ভেঙ্কি মাইসোর বলেন, 'বিদেশিদের ছাড়া খেলা হলে অবশ্যই মান পড়বে। তবে এখই বিদেশিহীন আইপিএল নিয়ে ভাবা হচ্ছে না। নাইটব্রিগেডের দেশীয় ক্রিকেটটারাও দারুণ শক্তিশালী। সর্বপরি লিগের নাম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ,যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটাররাই টুর্নামেন্টের আসল শক্তি।'
ভেঙ্কি আরও বলেন
ভেঙ্কি আরও জুড়েছেন, 'আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, ইয়ন মর্গ্যান, প্যাট কামিন্সদের জুড়লে দল অসম্ভব শক্তিশালী একটা লাইন আপ গড়তে পারবে। এই ক্রিকেটাররা খেললে প্রোডাক্ট হিসেবে কেকেআর আরও শক্তিশালী হবে।'
ফুল ফর্ম্যাটে হোক আইপিএল
সেই সঙ্গে কেকেআর সিইও বলেছেন, আইপিএল যে সময়েই হোক না কেন, লিগ পুরো ফর্ম্যাটে খেলার পক্ষে তারা। সীমিত দিনের লিগ খেলতে চাইছে না কেকেআর। অন্যদিকে করোনা রুখতে বলে এখন লালার ব্যবধার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই নিয়ে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বলেছেন, 'বলে লালার ব্যবহার বন্ধ হওয়াতে বোলাররা অবশ্যই সমস্যায় পড়তে চলেছে।'
করোনা ও আম্ফান বিধ্বস্তদের মুখে হাসি ফোটাতে আইপিএল নিয়ে কী শপথ কেকেআর অধিনায়কের