আইপিএলের শুরু থেকেই কি রাসেল-নারিনকে পাচ্ছে কেকেআর? জেনে নিন
আইপিএলের শুরু থেকেই কি রাসেল-নারিনকে পাচ্ছে কেকেআর? জেনে নিন
করোনা ভাইরাসের আবহে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হবে চলতি বছরের আইপিএল। সব স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা মেনেই হবে টুর্নামেন্ট। কড়া নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ হতে হবে ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের। সেসবের মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে সুখবর, হয়তো আইপিএলের প্রথম থেকেই ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল ও সুনীল নারিন।
আইপিএলের প্রথম থেকেই খেলবেন রাসেল-নারিন!
১০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। ১৩ তারিখ কেকেআর তারকা আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারিন আইপিএল খেলতে সেখান থেকে সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গিয়ে পৌঁছবেন বলে খবর। এরপর তাঁরা হাতে যে সময় পাবেন, তা সেল্ফ আইসোলশনে থাকার পক্ষে যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম থেকে খেলতে তাঁদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
দেরিতে পৌঁছবেন কমিন্স, ব্যান্টন, মর্গ্যান
আইপিএল শুরু হওয়ার ঠিক আগে শেষ হবে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের সিরিজ। সেই সিরিজ শেষ করে কেকেআরের অন্যতম ভরসা প্যাট কমিন্স ও টম ব্যান্টন আবু ধাবিতে পৌঁছবেন বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ করে কেকেআর শিবির যোগ দেবেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান।
বায়ো সিকিওর বাবল
করোনা ভাইরাসের প্রভাব থেকে বাঁচতে আইপিএলে অংশ নিতে চলা প্রতি দল এবং ক্রিকেটারের বায়ো সিকিওর জোনে থাকাটা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে বিসিসিআই। টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতি স্টেডিয়ামকে তিনটি বায়ো সিকিওর জোনে ভাগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মাঠ (ফিল্ড অফ প্লে), ক্রিকেটার এবং ম্যাচ অফিসিয়ালদের জোন ওয়ানে রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় তথা অভ্যন্তরীন জোনে স্টেডিয়ামের অপারেশনাল এলাকাগুলি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তৃতীয় অর্থাৎ আউটার জোনে স্টেডিয়ামের বাইরের এলাকাকে (বাউন্ডারির মধ্যে সীমাবদ্ধ) চিহ্নিত করা হয়েছে।
কোয়ারেন্টাইন বিধি
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে রওনা হওয়ার আগে প্রতি দলের ক্রিকেটারদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। তার আগে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্রিকেটারদের দুটি কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। কোনও ক্রিকেটারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে, তার ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন নিয়ম আরও কড়া করা হবে। আইসোলেশন পর্ব কাটিয়ে ওই ক্রিকেটারকে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও দুটি কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলে, নির্দিষ্ট ক্রিকেটারকে আইপিএল খেলার জন্য দুবাইতে পাঠানো হবে। আট দলের ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফরা আইপিএল খেলতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পৌঁছলে, তাঁদের বাধ্যতামূলক সাত দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটাতে হবে। এই সময়ে সব দলের ক্রিকেটার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের তিন বার কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে। টেস্ট রিপোর্ট যাঁদের নেগেটিভ আসবে, তাঁরাই আইপিএলে অংশ নিতে পারবেন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতি পাঁচ দিন অন্তর ক্রিকেটার কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।