স্বস্তির বুদ্বুদে আচ্ছন্ন কোহলি এবার ব্যাকফুটে! নামলেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে
এক সমর্থককে বিতর্কিত জবাব দেওয়ায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়ে বিরাট কোহলি বললেন, তিনি 'ফ্রিডম অব চয়েস'-এ বিশ্বাসী। সমর্থকদের বললেন তাঁর বক্তব্যকে হাল্কাভাবে নিতে।
দিন কয়েক আগেই জন্মদিনে ভারত ও বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সমর্থকদের অসংখ্য ভালবাসা পেয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ওই দিনই নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ বাজারে এনে সমর্থকদের বিভিন্ন মেইলের জবাব দিতে শুরু করেছিলেন।
বুধবারই এক সমর্থককে দেশ ছাড়ার কথা বলে সেই সমর্থকদের কাছ থেকেই তীব্র নেতিবাচক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। এরপরই এক পা পিছিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে দেখা গেল তাঁকে।
বিতর্কের সূত্রপাত
কোহলির নয়া অ্যাপে এক ক্রিকেট সমর্থক মন্তব্য করেছিলেন কোহলিকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয় হলে মনে হয় তাঁর। তিনি ভারত অধিনায়কের মধ্যে কোনও বিশেষ কিছু খুঁজে পান না। তিনি আরও জানিয়েছিলেন এই ভারতীয় দলের খেলা দেখার চেয়ে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখা তিনি বেশি উপভোগ করেন।
কোহলির বিতর্কিত জবাব
এর উত্তরে কোহলি তাঁকে বলেন তাঁর ভারত ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন আমাদের দেশে থেকে অন্য দেশকে ভালবাসা চলবে না। তিনি আরও জানান, ওই সমর্থকের তাঁকে পছন্দ হয় না তাতে কোনও অসুবিধা নেই, কিন্তু তাঁর মতে ওই সমর্থকের ভারতে থাকা উচিত নয়।
তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া
এই মন্তব্য করে কিন্ত সমর্থকদের থেকে তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন বিরাট। টুইটারে তাঁর এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
সিওএ-এর প্রতিক্রিয়া
জানা গিয়েছে কোহলির এই মন্তব্য ভালভাবে নেয়নি ক্রিকেট প্রশাসক কমিটিও। তবে কোহলি ওই মন্তব্য করেছেন ব্যক্তিগত অ্যাপে, বিসিসিআই-এর কোনও প্ল্যাটফর্মে নয়। এই বলে তারা বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে চেয়েছেন।
ব্যাকফুটে কোহলি
বিভিন্ন দিক থেকে নেতিবাচ প্রতিক্রিয়া পেয়ে আপাতত কোহলি নেমেছএন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। তিনি দাবি করেছেন, তিনি 'ফ্রিডম অব চয়েস'-এ বিশ্বাসী। জানিয়েছেন, 'এই ভারতীয়' কথাটা যেভাবে ওই সমর্থক উল্লেখ করেছিলেন, তিনি তারই সমালোচনা করেছেন মাত্র। বিষয়টি হাল্কা ভাবে নিয়ে সবাইকে উৎসবের মরসুম উপভোগ করতে বলেছেন তিনি।
স্বস্তির বুদ্বুদে কোহলি
ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলের মতে, কোহলি ভুগছেন এমন এক রোগে যাতে প্রায়শই আক্রান্ত হন সেলিব্রিটিরা। তিনি একে বলেছেন স্বস্তির বুদ্বুদ। সেলিব্রটিদের ক্ষমতা ও খ্য়াতির টানে বেশ কিছু এমন মানুষ তাদের চারপাশে জড়ো হয়, যাঁরা সেই ক্ষমতা ও খ্য়াতির ভাগ পেতে সবসময় তাদের মন জুগিয়ে কথা বলে যায়। এরফলেই সমালোচনা বা বিরূপ মন্তব্যে এরকম কড়া প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।