উদযাপনে বাদ মনোজ-শাকিব! ভুল শুধরে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স
উদযাপনে বাদ মনোজ-শাকিব! ভুল শুধরে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স
২০১২ সালের ২৭ মে চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতেছিল শাহরুখ খানের দল। তবে প্রথম সাফল্যের গুরুত্ব যে সব সময়ই অন্যরকম হয়, তা প্রমাণ করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ম্যাচের ছবিতে ভরিয়ে দিল কেকেআর। ধন্যি ধন্যি রবে মুখরিত হল চারিধার। তারই মধ্যে কিছুটা হলেও তাল কেটেছে আনন্দে। জেনে নিন সেই ঘটনা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল
দিশাহীন, অর্থহীন, ভিত্তিহীন বাজেট। মোদী সরকারের বাজেটের সমালোচনা করে বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে তিনি টুইট করেছিলেন, ‘বিতর্কিত বাজেট আরও বিতর্কিত।' বাজেট পেশের পর তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এই বাজেট দিশাহীন, অর্থহীন, ভিত্তিহীন। ফের টুইট করে তিনি জানান, শুধুমাত্র সংখ্যা ও শব্দের খেলা। নোটকাণ্ড সমাধানের কোনও উল্লেখ নেই বাজেটে। অবিলম্বে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক। এই বাজেটের মাধ্যমে দেশবাসীকে বিপথে পরিচালনা করছে কেন্দ্র। ভবিষ্যতের কোনও দিক নির্দেশ নেই।
চেন্নাইয়ের গড়ে ধোনিদের মুখে
২০১০ ও ২০১১ সালের আইপিএল জেতা দুর্ধর্ষ চেন্নাই সুপার কিংস, ২০১২ সালেও টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেছিল। প্রতিপক্ষ ছিল গৌতম গম্ভীর নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই-কে তাদেরই মাঠে হারিয়ে ট্রফি জেতা যে ছিল বেশ কঠিন কাজ, তা মেনে নিয়েছিল শাহরুখ খান শিবির।
আবদুল মান্নান, কংগ্রেস :
ধোঁয়াশা ভরা দিশাহীন বাজেট। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হল। সাধারণ বাজেটের সঙ্গে রেল বাজেট মিশিয়ে দিয়ে জগাখিচুড়ি করা হয়েছে। কোনও পরিকল্পনার ছাপ নেই। আগামী আর্থিক বর্ষে এই সরকার কী উন্নয়নমূলক কাজ করতে চায়, তা এই বাজেট থেকে বোঝার উপায় নেই। শুধু গিমিক দেওয়া হয়েছে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণের কোনও দিক তুলে ধরা হয়নি এই বাজেটে।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
চিপকে হওয়া ওই ফাইনালে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সিএসকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তুলেছিল এমএস ধোনি শিবির। ৩৮ বলে ৭৩ রান করেছিলেন সুরেশ রায়না। ৪৩ বলে ৫৪ রান করেছিলেন মাইক হাসি। ১৯১ রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে গিয়ে শুরুতেই অধিনায়ক তথা ওপেনার গৌতম গম্ভীরের (২) উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কেকেআর। এরপর দ্বিতীয় ওপেনার মনবিন্দর বিসলা ও জ্যাক কালিসের মধ্যে ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ হয়েছিল। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কা সহ ৪৮ বলে ৮৯ রান করে আউট হয়েছিলেন বিসলা। ৪৯ বলে ৬৯ রান করেছিলেন কালিস। ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতা। ওই ট্রফি জয়ের পর কলকাতায় ব্যাপক সংবর্ধনা পেয়েছিল কেকেআর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি
এই বাজেট মা-মাটি-মানুষের বাজেট। এবারের বাজেট সর্বস্তরের মানুষকে ছুঁয়ে গিয়েছে। এই বাজেটে সমস্ত অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপরেখা রয়েছে। এককথায় স্বপ্নের বাজেট পেশ করেছেন আমাদের অর্থমন্ত্রী।
উদযাপনে কেকেআর
ঘটনার অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে টুইটারে আইপিএল জয়ের নানা মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেছে কেকেআর। ম্যাচের নায়কদের তালিকায় মনবিন্দর বিসলা, গৌতম গম্ভীর, ব্রেন্ডন ম্যাকুলাম, সুনীল নারিন ও ব্রেট লি-র নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেছেন শাহরুখ খান শিবির।
মহম্মদ সেলিম, সিপিএম
এই বাজেটে অনেক জুমলা। একেবারে প্রধানমন্ত্রীর মতো কথা। সমস্যাগুলো নিরসনের কোনও দিশা নেই বাজেটে। দু'কোটি বেকারকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল আগে। তার কী হল, এই বাজেটে তা উল্লেখ নেই। এটা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তৃতীয় বাজেট। কোনও চাকরির দিশা দেখাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। সরকারি চাকরির কোনও প্রতিশ্রুতি নেই। কৃষি সংকট নিয়ে সমাধানের কোনও পথা দেখা হয়নি। অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন বড় কোম্পানিগুলি কোনও ট্যাক্স দেয় না। কিন্তু ট্যাক্স আদায়ের বা ধণ খেলাপিদের কাছ থেকে দণ আদায়ের কোনও পন্থা বলা নেই বাজেটে। চিটফান্ড নিয়ে নতুন আইন করা হবে বলা হয়েছে। বাজপেয়ির আমলেও বলা হয়েছিল। কিন্তু চিটফান্ডে গরিব মানুষের টাকা কী করা আদায় করা সম্ভব সেই দিশা দেখাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।
|
মনোজের প্রতিবাদ
২০১২ সালে আইপিএল জয়ী কেকেআর দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন বাংলার মনোজ তিওয়ারি। এমনকী ১৮.৫ ওভারে ১৭৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনোজ ও বাংলাদেশি অল রাউন্ডার শাকিব আল হাসানের ১৭ রানের পার্টনারশিপ কলকাতাকে ওই ম্যাচ জিতিয়েছিল। চার মেরে কেকেআরের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছিলেন মনোজ। সেই তিনি কেকেআরের টুইটে নিজের ও শাকিবের নাম খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়েছেন।
হাফিজ আলম সাইরানি, ফরওয়ার্ড ব্লক
রাজনৈতিক দলগুলির চাঁদার ব্যাপারে প্রস্তাব ওয়ালকাম। কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে এই বাজেটের কোনও মিল নেই। সবটাই রঙিন ছবি দেখানো হয়েছে। আদৌ বাস্তবোচিত নয় বাজেট। এই বাজেট দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। কল্পনআর বাজেট বললেও অত্যুক্তি হয় না, কারণ বাস্তবে এই বাজেটের রূপায়ণ অসম্ভব।
|
কেকেআরের ক্ষমা প্রার্থনা
মনোজের টুইটের প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাল্টা টুইট করে শাহরুখ খান শিবির জানিয়ে দেয়, মনোজ ও শাকিব ওই ম্যাচ জয়ের দুই অন্যতম নায়ক।
মনোজ ভট্টাচার্য, আরএসপি
বাজেটে নতুনত্ব কিছু নেই। দেশেবর অর্থনীতি যে বিপজ্জনক অবস্থায় মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে উদ্ধারের পথ দেখাতে পারেনি এই বাজেট। বিদেশি বিনিয়োগে বাজার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব সম্পূর্ণ ভূলুণ্ঠিত হয়ে যাবে। যে কারণে স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিদেশি বিনিয়োগের বিরুদ্ধে লড়াই, সবই শেষ হয়ে যাবে এই বাজেট বাস্তাবায়িকত হলে। দেশের শিল্প নিয়ে কোনও দিশা নেই, কর্মসংস্থানেরও কোনও দিশা দেখাতে পারেনি বাজেট। এককথায় হতাশার বাজেট এটা।
প্রবোধ পাণ্ডা, সিপিআই
চমক আর নাটাকীয়তার ভরা বাজেট। নোটবন্দির ফলে সারা দেশেজুড়ে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তা থেকে উদ্ধারের কোনও দিশা নেই এই বাজেটে। শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটানো হয়েছে। মধ্যবিত্তদের জনজীবনে যে সমস্যা, তা নিয়ে কেনও আলোচনাই নেই। কর্পোরেট সেক্টরের দিকে চেয়েই বাজেট হয়েছে, সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি সরকার। কৃষক, শ্রমিকশ্রেণির জন্য কিছুই নেই। বেকারদের কথাও ভাবা হয়নি।