আইপিএলে সর্বাধিক রান করা বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্রম তালিকা দেখে নেওয়া যাক
আইপিএলে সর্বাধিক রান করা বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্রম তালিকা দেখে নেওয়া যাক
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হচ্ছে এ বছরের আইপিএল। করোনা ভাইরাসের জেরে বিদেশে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। তাতে ইভেন্টের গরিমা বাড়বে না কমবে, তা তো সময় বলবে। এ ব্যাপারে তর্কও চলতে থাকবে। সেই ফাঁকে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আইপিএলে সর্বাধিক রান করা চার বিদেশি ক্রিকেটারের ক্রম তালিকা।
সরফরোশ (১৯৯৯)
জো জিতা ওহি সিকন্দর সিনেমা দিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নেওয়া আমির খানের প্রথম থেকেই চকোলেট হিরো মার্কা ইমেজ ছিল। সেটা বদলে অন্যরকম চরিত্রে প্রথমবার বড়পর্দায় পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেন আমির সরফরোশ সিনেমায়। তারপর থেকে অভিনেতা হিসাবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন আমির।
ডেভিড ওয়ার্নার
এখনও পর্যন্ত আইপিএল ১২৬টি ম্যাচ খেলেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৪৩.১৭-এর গড়ে ৪৭০৬ রান করেছেন অস্ট্রেলিয় ওপেনার তথা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক। টুর্নামেন্টে ৪টি শতরান, ৪৪টি অর্ধশতরান রয়েছে ওয়ার্নারের। সর্বোচ্চ স্কোর ১২৬। আইপিএলে মোট ৪৫৮টি চার ও ১৮১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অজি ব্যাটসম্যান। আইপিএলে সর্বাধিক রান করা বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্রম তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ওয়ার্নার। দেশি এবং বিদেশি মিলিয়ে তালিকার চার নম্বর স্থানে রয়েছেন অজি ওপেনার।
লগান (২০০১)
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময়ের এক পিরিয়ড ড্রামা লগান ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক কালজয়ী ছবি। ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াইয়ের মতো ভারত বনাম ঔপনিবেশিক শক্তি ইংরেজদের লড়াইয়ে দেশকে সম্মান এনে দেন ভুবনের চরিত্রে অভিনয় করা আমির। সিনেমাটি প্রযোজনা করতে কেউ রাজি হচ্ছিলেন না। শেষপর্যন্ত আমিরের প্রযোজনায় ও আশুতোষ গোয়ারিকরের পরিচালনায় লগান তৈরি হয় ও তারপর বাকীটা ইতিহাস।
ক্রিস গেইল
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। আইপিএলে ১২৫টি ম্যাচ খেলে ৪৪৮৪ রান করেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। ৬টি শতরান ও ২৮টি অর্ধশতরান রয়েছে গেইলের ঝুলিতে। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১৭৫। আইপিএলে ৩৬৯টি চার ও ৩২৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন গেইল। দেশি এবং বিদেশি মিলিয়ে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার।
মঙ্গল পাণ্ডে (২০০৫)
কেতন মেহতার সিনেমা মঙ্গল পাণ্ডে-তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন আমির। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই সিনেমায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন আমির। নিজের লুক থেকে শুরু করে অভিনয় সবেতেই অন্যরকম ছিলেন আমির।
এবি ডিভিলিয়ার্স
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা কিংবদন্তি এবি ডিভিলিয়ার্স আইপিএলে ১৫৪টি ম্যাচ খেলে ৪৩৯৫ রান করেছেন। টুর্নামেন্টে তিনটি শতরান ও ৩৩টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১৩৩। আইপিএলে ৩৫৭টি চার ও ২১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ডিভিলিয়ার্স। বিদেশি ব্যাটসম্যানদের তালিকার তৃতীয় এবং সবমিলিয়ে নবম স্থানে অবস্থান করছেন এবিডি।
রং দে বসন্তী (২০০৬)
ভারতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এক বিদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক ভারতে এসে সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা করেন। যাদের নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছিলেন, সেই কলাকুশলীরা ধীরে ধীরে স্বাধীনতার আসল মানে বুঝতে শুরু করেন। স্বাধীন ভারতে লড়াইটা বদলে যায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এই সিনেমায় ডিজে-র ভূমিকায় অভিনয় করেন আমির যা যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
শেন ওয়াটসন
অস্ট্রেলিয় অল-রাউন্ডার শেন ওয়াটসন তালিকার চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন। আইপিএলে ১৩৪টি ম্যাচ খেলে ৩৫৭৫ রান করেছেন শেন। চারটি শতরান ও ১৯টি অর্ধশতরান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। টুর্নামেন্টে ৩৪৩টি চার ও ১৭৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ওয়াটসন। আইপিএলে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১১৭।
তারে জমিন পর (২০০৭)
ডিসলেক্সিয়া নামে একটি রোগকে কেন্দ্র করে শিশুদের নিয়ে তৈরি এই সিনেমা সন্তান-অভিভাবরেক মধ্যে সম্পর্কে আলো ফেলেছিল। জীবনযুদ্ধে দৌড়তে গিয়ে ছোট শিশুকে তার নিজের মতো চলতে না দিয়ে জীবনের চরকিপাকে ঘুরতে বাধ্য করা তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের এক অনন্য গল্প ছিল এই সিনেমা। শেষপর্যন্ত জীবনযুদ্ধে লড়ার ও জয়ী হয়ে আসার কাহিনিও একইসঙ্গে এই সিনেমায় বলা হয়েছে। আমিরের এই সিনেমা ভারতীয় দর্শককে মন্ত্রমুগ্ধ করেছে সন্দেহ নেই।
পিকে (২০১৪)
ধর্মের ভেদাভেদ সারা পৃথিবীকে আলাদা করে দিয়েছে। সামাজিক-ধার্মিক সমস্ত বড় ভেদের মূলেই রয়েছে ধর্মীয় কারণ। আর এসবের মাঝে এসে পড়ে ভিন গ্রহের এক প্রাণী। পৃথিবীর এমন আজব কাণ্ডকারখানা দেখে তার মনে অসংখ্য প্রশ্ন জাগে, আর তার উত্তর দিতে গিয়ে একেরপর এক নেতিবাচক ভাবনা যা মানুষের মনকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে তা সামনে আসে। এই সিনেমাকে বলা যেতে পারে ধর্মের বিরুদ্ধে এক কড়া জবাব। আর সেখানেও নাম ভূমিকায় সেই আমির খান।
দঙ্গল (২০১৬)
এই সিনেমায় অভিনয় করে বলিউডের সবচেয়ে ঝুঁকি নেওয়া অভিনেতা হিসাবে নতুন মাইলস্টোন তৈরি করেছেন আমির খান। এই সিনেমার জন্য ৩০ কেজির বেশি ওজন বাড়ান তিনি। যার ফলে নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে তাঁকে পড়তে হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও বিপদের ঝুঁকি নিয়ে এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
মেয়ে ও বাবার ভালোবাসার এক অনন্য গল্প এই দঙ্গল। মেয়েদের জীবনযুদ্ধে জিততে দেখতে চান বাবা, তাদের দিয়ে পাওয়াতে চান অলিম্পিকের পদক, আর সেজন্য প্রাণপাত করতে ও করাতে তৈরি তিনি। নিজের জীবনের বাজি রেখে মেয়েদের তৈরি করার গল্পই দঙ্গলে বলা হয়েছে। সেখানে মহাবীর সিং ফোগতের চরিত্রে আমির সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন।
আইপিএল ২০২০ : রাজস্থান রয়্যালসের শক্তি, দুর্বলতা ও সম্ভাব্য প্রথম একাদশ