'মানকাডিং', পিছনে এক ভারতীয় ক্রিকেটার! কীভাবে এল এই নাম, জেনে নিন ইতিহাস
'মাঁনকাডিং' বা 'মানকাড়ীয়' শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে জেনে নিন, যা আইপিএল ২০১৯-এ হইচই সৃষ্টি করেছে।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) থেকে আইপিএল-২০১৯-এ সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে 'মানকাডিং' বা 'মানকাড়িয় পদ্ধতি'-তে আউট করা নিয়ে। জয়পুরে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবে১৮৪ রানের ইনিংস তাড়া করতে নেমে জস বাটলারের দুরন্ত ইনিংসে ভর দিয়ে দারুণভাবে এগোচ্ছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু, ১৩তম ওভারে বোলিং করার সময়, নন স্ট্রাইকার প্রান্তে বাটলারকে রান আউট করেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাব অধিনায়ক আর অশ্বিন।
তারপর থেকেই তিনি এইভাবে আউট করে ঠিক করেছেন না ভুল, এই নিয়ে নানা মত এসেছে। বেশিরভাগেরই বক্তব্য ক্রিকেট আইনে থাকলেও এটা ক্রিকেটীয় স্পিরিট বিরোধী । তবে এদিন এমসিসি জানিয়ে দিয়েছে অশ্বিন অখেলোয়াড়োচিত কিছু করেননি। এই অখেলোয়াড়োচিত আচরণের প্রথম অভিযোগটা উঠেছিল অবশ্য এক ভারতীয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেই।
এই মানকাডিং বা মানকাড়িয় পদ্ধতিতে আউট - কথাটা এসেছে প্রাক্তন ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার মুলবন্তরাই হিমন্তলাল মানকাড় বা ভিনু মানকাড়ের নাম থেকে। মানকাড় থেকে বলা হয় মানকাডিং বা মানকাড়িয়। তিনিই প্রথম এই আইন কাজে লাগিয়ে আউট করেন বলে এই আউটের সঙ্গে তাঁর নাম জুড়ে গিয়েছে।
প্রথম মানকাড়িয় আউটের ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৪৭ সালে। অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথমে একটি অনুশীলন ম্যাচে ও পরে সিডনির দ্বিতীয় টেস্টে দুইবার বোলিং করার সময়ে ননস্ট্রাইকার প্রান্তের ব্য়াটসম্যান বিল ব্রাউনকে রান-আউট করেছিলেন তিনি। অজিরা সেই সময় ক্রিকেটের স্পিরিট না মেনে খেলার অভিযোগ করেছিল মানকাড়ের নামে।
সেই অজি দলের অধিনায়ক ছিলেন বিশ্বের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ডন ব্র্যাডম্যান। আত্মজীবনিতে তিনি ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে মানকাড়-কেই সমর্থন করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ক্রিকেট আইনে তো সাফ বলা আছে বল করার আগে পর্যন্ত ব্য়াটসম্যানকে ক্রিজে থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে বোলারের আউট করার সুযোগও দেওয়া হয়েছে। তাহলে এতে কী করে ক্রিকেটের স্পিরিট ক্ষুন্ন হয়?
ভিনু মানকাড়ই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট ল করেছিলেন। ১৯৫২ সালে লর্ডস টেস্টে তিনি রান করেছিলেন ৭২ ও ১৮৪ এবং সেই সঙ্গে ৫টি উইকেট নেন। সেই টেস্টটি পরিচিত হয়ে রয়েছে মানকার টেস্ট নামে।