
কাজের সূত্রে পরিচয়
সেই সময় রাহুল একটি মিডিয়া হাউস তৈরি করছিলেন। সেই সূত্রেই ওই মহিলা সাংবাদিকের তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। প্রায়শই বিভিন্ন পার্টিতে তাঁদের দেখা হত। এমনকী রাহুলের স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গেও ওই সাংবাদিকের ভাল আলাপ পরিচয় ছিল। নিজের বাড়িতে নৈশাহারেও তাঁদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন।
একদিন, এক রেস্তোরাঁয় রাহুল বিভিন্ন কাজের অছিলায় ওই মহিলাকে ডাকেন। আলোচনা চলাকালীনই রাহুল সাংবাদিককে প্রস্তাব দেন তাঁর বাড়িতে যাওয়ার।

বাড়িতে এসেই প্যান্ট খুলে দাঁড়িয়ে পড়েন
মহিলা সাংবাদিক ভেবেছিলেন রাহুলের স্ত্রী সীমা বাড়িতে থাকবেন। তাই আর কিছু না ভেবেই তিনি রাহুলের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে আসেন। কিন্তু সেখানে সীমা ছিলেন না।
ওই মহিলা জল খেতে চেয়েছিলেন। রাহুল জল আনেন বেশ দেরি করে। মহিলা যখন জল খাচ্ছেন, তখনই হঠাত রাহুল তাঁর সামনে প্যান্ট খুলে উদোম হয়ে যান বলে অভিযোগ। ঘটনার আকস্মিকতায় মহিলা সাংবাদিক সেইসময় কোনও প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।

তারপর যা হল শিউরে ওঠার মতো
এরপর ঘটনার বিস্তৃত যে বিবরণ ওই সাংবাদিক দিয়েছেন তা পড়লে শিউরে উঠতে হয়। ওই সাংবাদিক বলেছেন রাহুল জোর করে তাঁকে ওরাল সেক্সে বাধ্য করেন। তাঁর স্তন স্পর্শ করেন।
মহিলা সাংবাদিক জানিয়েছেন ঘটনায় তিনি এতটাই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন যে গোটা সময়টায় তাঁর মাথায় কিছুই ঢুকছিল না যে কী ঘটছে।

#MeToo'ই জোগালো সাহস
শুধু তাই নয় ঘটনার পর তিনি এতদিন নিজেকেই দোষারোপ করে এসেছেন। যেরকমটা আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ নির্যাতিতাকে ভাবানো হয় সেভাবেই তাঁর মনে হয়েছিল তিনি নিজেই দোষী। তাঁরই কিছু খুঁত আছে। কিন্তু এখন যখন একের পর সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মুখোশ খুলে যাচ্ছে তখনই তিনি এই ঘটনা ফাঁস করার সাহস পেয়েছেন।

রাহুলের প্রতিক্রিয়া
রাহুল এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে রা'টি কাড়েনননি। কোনও প্রতিবাদ, মানহানির মামলার হুমকি - কিচ্ছু না। বোর্ডের কর্মকাণ্ড পিরচালনা থেকে স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট, দেশে ক্রিকেটের প্রসার ঘটানোর মতো দায়িত্ব রয়েছে তাঁর হাতে।