মিতালী রাজ বিতর্ক: চাকরি খোয়াতে চলেছেন রমেশ পাওয়ার! 'প্রভাবশালী' ফোনকলই কাল হল
সূত্রের খবর, মিতালী রাজের সঙ্গে মুখোমুখি ঝামেলায় জড়ানোর কারণে বিসিসিআই রমেশ পাওরের চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে না।
মিতালির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে চাকরিটাই খোয়াতে চলেছেন ভারতের মহিলা দলের কোচ রমেশ পাওয়ার। তাঁর সম্পর্কে কিন্তু উচ্ছ্বসিত ছিলেন মহিলা ক্রিকেট দলের বাকি ক্রিকেটাররা। কিন্তু বাংলা সিনেমার সেই বিখ্যাত সংলাপ 'বৌ গেলে বৌ পাওয়া যায়, মা গেলে মা পাওয়া যায় না'-র মতোই তাঁর সম্পর্কে বিসিসিআই-এর বর্তমান মনোভাব কোচ গেলে কোচ পাওয়া যাবে, কিন্তু ভাল খেলোয়াড় গেলে তা আর পাওয়া যাবে না।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর)-ই ভারতের মহিলা দলের কোচ হিসাবে তাঁর চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভাল কাজ করা সত্ত্বেও তাঁর চুক্তির মেয়াদ আর বাড়াবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। বিসিসিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে শুধু মিতালির সঙ্গে দ্বন্দ্বই নয়, পাওয়ার-বিদায়ের পিছনে আরও কয়েকটি কারণ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে সেসবেরও কেন্দ্রে রয়েছেন একজনই, নিতালি রাজ।
আর্ট ফিল্ম প্রসঙ্গে
সোনম বলেন, 'আর্ট ফিল্ম মানেই কেন যারা দেখতে ভাল না তাদের নেওয়া হবে। এর কোনও মানে হয় না। আর তাদের দেখতে ভাল নয় মানে এই নয় যে তারা ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রী।'
মেরুদণ্ডহীন
জানা গিয়েছে কোচ হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে রমেশ পাওয়ার গেলেও তাঁকে মুম্বই থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন বিসিসিআই-এরই এক 'প্রভাবশালী' ব্যক্তিত্ব। তাঁর একটি করে ফোন গিয়েছে আর পাওয়ার তাঁর সিদ্ধান্ত বদলেছেন। চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গিয়েছেন বারে বারে। এই বিষয়টি বিসিসিআই ভাল চোখে দেখেনি।
ঐশ্বর্য আন্টি
ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে সরাসরি 'আন্টি' বলে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন সোনম। বলেছিলেন ও তো "অন্য প্রজন্ম থেকে আসা আন্টি।"
উত্তরহীন
ওয়েস্টইন্ডিজ থেকে ফেরার পর বিসিসিআই-এর কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক হয় পাওয়ারের। জানা গিয়েছে সেই বৈঠকে পাওয়ারকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল কিকরে এবং কিভাবে মিতালি ওপেনিং ব্যাটসম্যান থেকে টুর্নামেন্টের মাঝে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হয়ে গেলেন। জানতে চাওয়া হয়েছিল দুই ম্যাচে পর পর অর্ধ শতরান করার পরেও কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, পাওয়ার এইসব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
শোভা দে প্রসঙ্গে
করন জোহরের অনুষ্ঠানে করন তাঁকে শোভা দে-র বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সোনম বলেন, কে শোভা দে? ওতো খারাপ বই লেখে। ও একটা জীবাশ্ম যে এখন ঋতুজরার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনাহীন
জানা গিয়েছে মিতালীর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারকে বাদ দিতে হলে, বোর্ড আশা করে তাঁর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা করা হোক। কিন্তু মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মিতালীকে বাদ দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা তো দূর, ম্যাচের আগে তাঁকে কিছু জানানোই হয়নি। শিধি তাই নয় জানা গিয়েছে এক্ষেত্রেও ম্যাচের দিন সকালে মুম্বই থেকে আসা ফোনের পরেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয় মিতালীকে। এই বিষয়টির কারণেও বোর্ডের রোষে পড়েছেন পাওয়ার।
মধ্যমা প্রদর্শন
প্লেয়ারস ছবির প্রচারে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে মধ্যমা প্রদর্শন করে সবার নজরে পড়েছিলেন সোনম। এবং বলেছিলেন, আমি ঢাকাছোপায় বিশ্বাস করি না। তাই কেউ পছন্দ করল কী করল না আমার কিছু এসে যায় না। আমি শুধু চাই মানুষে আমার ছবি দেখতে আসুক। মধ্যমা প্রদর্শন আজকালকার তরুণ সমাজের একটা অঙ্গ।
শেষ পেরেক
তাঁর কফিনে শেষ পেরেক অবশ্যই মিতালীর সঙ্গে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এখনও তাঁর পক্ষে সওয়াল করছেন বিসিসিআই সিওএ সদস্য জায়না এডুলজি। ভারতের টি২০ অধিনায়ক হরমনপ্রিত-সহ বেশ কেয়কজন ক্রিকেটারও পাওয়ারের কোচিং পছন্দ করেছেন। তাঁদের মতে দলে তিনি প্রতিযোগিতার মানসিকতা আমদানি করেছিলেন। কিন্তু মিতালী কান্ডে দলের মনোবলে, একাত্বতায় বড় আঘাত হেনেছে বলে মত বিসিসিআই কর্তাদের। তাই রমেশ পাওয়ারকে আর কোচের পদে রাখতে নারাজ তাঁরা।
রণবীর কাপুর সম্পর্কে
জামাকাপড় না খুললে রণবীর কাপুর মোটেই সেক্সি নয়। রণবীরের স্টাইলিংয়ের প্রয়োজন। রণবীর ভাল বন্ধু হতে পারে তবে মোটেই বয়ফ্রেন্ড মেটিরিয়াল নয় ও। আমি বুঝতে পারি না দীপিকা ও সঙ্গে এতদিন টিকে ছিল কি করে। ও তো মাম্মাস বয়। ওর মা তো ওর পায়ের নখ কেটে দেয়।
ক্যাটরিনা কাইফ প্রসঙ্গে
আমি ক্যাটরিনাকে ফুলের তোড়া দিতে চাই। আমি জানি না কীভাবে ও এটা করে। কিছু জিনিস করার জন্য কিছুটা হলেও অঙ্গীকার এবং কিছুটা ঠেঁটামি থাকতে হয়।
পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করায়
এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে নির্বোধ বলে ব্যাখ্যা দিলেন সোনম। সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য তিনি লজ্জিত ও অসুস্থ বোধ করেন বলেও মন্তব্য করেন। টুইটারে তিনি টুইট করে বলেন, "যারা ভাবে কোনওকিছু নিষিদ্ধ করলে ভারতীয় চিন্তাধারায় তফাৎ আনা যাবে, সেই সব নির্বোধদের সবার আগে নিষিদ্ধ করা উচিত।"